০৪:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মহাখালী গণপূর্তে দুর্নীতির মহোৎসব

নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুল ইসলামের কোটি টাকার কমিশন বাণিজ্য !

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
  • আপডেট সময় : ০১:১৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫ ১৮ বার পড়া হয়েছে

গণপূর্ত অধিদপ্তরে দুর্নীতির ধারা যেন থামছেই না। এর কেন্দ্রে এখন আলোচনায় মহাখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুল ইসলাম ডিউক। দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন তিনি— যেন অদৃশ্য কোনো শক্তির আশ্রয়ে আছেন এই প্রকৌশলী।

বিগত আওয়ামী সরকারের ১৬ বছর জুড়ে দলীয় ঠিকাদারদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে কোটি কোটি টাকার সুবিধা ভোগ ও কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগে তোলপাড় মহাখালী গণপূর্ত বিভাগ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ফয়জুল ইসলাম ডিউকের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে এক ‘কমিশন সিন্ডিকেট’, যেখানে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ঘুষ না দিলে কাজ পাওয়া তো দূরের কথা—বিল ছাড় করাও অসম্ভব।

সূত্র জানায়, গত জুলাইয়ের রাজনৈতিক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত মহাখালী এলাকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন, বিআরটিএ ও সেতু ভবনের মেরামত কাজ দরপত্র আহ্বানের আগেই শুরু করার মৌখিক নির্দেশ দেন প্রকৌশলী ডিউক।

পরে ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করে ‘নিজস্ব পছন্দের’ কিছু আওয়ামী ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেন— এর বিনিময়ে কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

কমিশন বাণিজ্যের রাজত্ব : অভিযোগ রয়েছে, ৪-৫ কোটি টাকার বকেয়া বিল ছাড় করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের কাছ থেকে ১৫–২০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন আদায় করেছেন ফয়জুল ইসলাম ডিউক।

এমনকি চলতি অর্থবছরে প্রায় অর্ধকোটি টাকার কাজ এলটিএম পদ্ধতির বদলে ওটিএম পদ্ধতিতে নিজের পছন্দের ঠিকাদারদের দিয়ে করিয়ে নিয়েছেন তিনি। গোপন কোটেশন দেখিয়ে আরও প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও জানা গেছে।

একাধিক ঠিকাদার অভিযোগ করে বলেন, “ডিউক দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই অফিসটা হরিলুটের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। কমিশন না দিলে কাজ হয় না, বিল ছাড় হয় না— এমনকি নকশাও অনুমোদন হয় না।”

কাজের মানে ভয়াবহ অবনতি : মহাখালী গণপূর্তের বিভিন্ন প্রকল্পে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ভবন, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং, এসটিপি ও আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটার রিজার্ভার নির্মাণে ব্যবহৃত ইট, রড, সিমেন্ট—সবকিছুতেই নিম্নমান ধরা পড়েছে।

একইভাবে সেতু ভবনের সংস্কার প্রকল্পে ব্যয় দেখানো হয়েছে কোটি কোটি টাকা, অথচ অধিকাংশ কাজ এখনো অসম্পূর্ণ।
এমনকি চলতি বছরের জুন মাসে অসম্পূর্ণ কাজেরও অগ্রিম বিল ছাড় দেওয়া হয়েছে— যার পেছনে রয়েছে মোটা অংকের ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ।

সূত্র জানা গেছে, প্রকৌশলী ডিউক তার ঘনিষ্ঠ আওয়ামীপন্থী ঠিকাদারদের জন্য আলাদা একটি ‘ভিআইপি তালিকা’ রাখেন। এই তালিকার নামগুলোই পরে টেন্ডারে “নির্বাচিত” হয়— যাতে কাগজে প্রতিযোগিতা থাকলেও বাস্তবে কাজ পায় একই গোষ্ঠী।এই সুবিধাভোগী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে —অনিক ট্রেডিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেড (৪.১৮ কোটি ও ১.৪৮ কোটি টাকার কাজ), এনএল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন (৩.৬০ কোটি টাকার সংস্কার কাজ), খান এন্টারপ্রাইজ (২.৫৩ কোটি টাকার অ্যালুমিনিয়াম জানালা, ফলস সিলিং ও বাউন্ডারি ওয়াল সংস্কার)।প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশেরই রেক্টোফিটিং বা সরকারি ভবন সংস্কারে ন্যূনতম অভিজ্ঞতা নেই বলে অভিযোগ তুলেছেন বঞ্চিত ঠিকাদাররা।

প্রক্সি টেন্ডারের ফাঁদ : দুর্নীতির আরেক কৌশল হিসেবে চালু করা হয়েছে ‘প্রক্সি টেন্ডার’ পদ্ধতি। অর্থাৎ, একই ব্যক্তি ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে দরপত্র জমা দিয়ে কাগজে প্রতিযোগিতা দেখালেও আসলে সব কাজ পায় এক সিন্ডিকেট। ফলে সাধারণ ঠিকাদাররা সম্পূর্ণভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন, আর কমিশনভিত্তিক ওই চক্রের সদস্যরা ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা।
জানা গেছে, জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রায়ই অনুপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী ডিউক। নিয়মিত অফিসে না এসে কখনো হাজী ক্যাম্প, কখনো সার্কেল বা জোন অফিসে বসে ফাইলপত্রে সই করতেন— এমন অভিযোগ করেছেন তাঁরই সহকর্মীরা। ফলে বিভাগজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে অসন্তোষ ও ক্ষোভের আগুন।

ডিউকের ঘনিষ্ঠদের ভূমিকা : মহাখালী সাব-ডিভিশনের এসডিই ওয়াহিদ বিন ফরহাদ— ডিউকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে, কাজ পেতে হলে ঠিকাদারদের কাছ থেকে সরাসরি নগদ টাকা নিতে হয়। না দিলে কাজ বন্ধ করে দেন বা ফাইল আটকে রাখেন। মতিঝিলে দায়িত্বকালীন সময়েও ৪০–৫০% ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে ছিল বলে জানায় গণপূর্তের একাধিক সূত্র।

দুদকের নজরে মহাখালী গণপূর্ত : দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী গণমাধ্যমকে বলেন, “সরকারি অফিসগুলোকে দুর্নীতিমুক্ত করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। মহাখালী গণপূর্তের বিষয়ে প্রাথমিক যাচাই শেষে একটি অনুসন্ধান টিম কাজ শুরু করেছে।”

এ অনুসন্ধান টিমে রয়েছেন পরিচালক আব্দুল মাজেদ, উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার, সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া ও উপসহকারী পরিচালক এলমান আহাম্মদ অনি। তবে অনুসন্ধান শেষ হলেও এখনো রিপোর্ট চূড়ান্ত হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, “চাপের মুখেও তদন্তের কাজ অব্যাহত রয়েছে।”

ডিউকের ‘নীরবতা’ : এসব অভিযোগে ফয়জুল ইসলাম ডিউকের বক্তব্য জানতে তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠানো হলেও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মহাখালী গণপূর্তে দুর্নীতির মহোৎসব

নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুল ইসলামের কোটি টাকার কমিশন বাণিজ্য !

আপডেট সময় : ০১:১৬:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫

গণপূর্ত অধিদপ্তরে দুর্নীতির ধারা যেন থামছেই না। এর কেন্দ্রে এখন আলোচনায় মহাখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুল ইসলাম ডিউক। দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন তিনি— যেন অদৃশ্য কোনো শক্তির আশ্রয়ে আছেন এই প্রকৌশলী।

বিগত আওয়ামী সরকারের ১৬ বছর জুড়ে দলীয় ঠিকাদারদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে কোটি কোটি টাকার সুবিধা ভোগ ও কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগে তোলপাড় মহাখালী গণপূর্ত বিভাগ।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ফয়জুল ইসলাম ডিউকের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে এক ‘কমিশন সিন্ডিকেট’, যেখানে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ঘুষ না দিলে কাজ পাওয়া তো দূরের কথা—বিল ছাড় করাও অসম্ভব।

সূত্র জানায়, গত জুলাইয়ের রাজনৈতিক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত মহাখালী এলাকার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবন, বিআরটিএ ও সেতু ভবনের মেরামত কাজ দরপত্র আহ্বানের আগেই শুরু করার মৌখিক নির্দেশ দেন প্রকৌশলী ডিউক।

পরে ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করে ‘নিজস্ব পছন্দের’ কিছু আওয়ামী ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দেন— এর বিনিময়ে কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

কমিশন বাণিজ্যের রাজত্ব : অভিযোগ রয়েছে, ৪-৫ কোটি টাকার বকেয়া বিল ছাড় করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের কাছ থেকে ১৫–২০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন আদায় করেছেন ফয়জুল ইসলাম ডিউক।

এমনকি চলতি অর্থবছরে প্রায় অর্ধকোটি টাকার কাজ এলটিএম পদ্ধতির বদলে ওটিএম পদ্ধতিতে নিজের পছন্দের ঠিকাদারদের দিয়ে করিয়ে নিয়েছেন তিনি। গোপন কোটেশন দেখিয়ে আরও প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও জানা গেছে।

একাধিক ঠিকাদার অভিযোগ করে বলেন, “ডিউক দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই অফিসটা হরিলুটের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। কমিশন না দিলে কাজ হয় না, বিল ছাড় হয় না— এমনকি নকশাও অনুমোদন হয় না।”

কাজের মানে ভয়াবহ অবনতি : মহাখালী গণপূর্তের বিভিন্ন প্রকল্পে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ভবন, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং, এসটিপি ও আন্ডারগ্রাউন্ড ওয়াটার রিজার্ভার নির্মাণে ব্যবহৃত ইট, রড, সিমেন্ট—সবকিছুতেই নিম্নমান ধরা পড়েছে।

একইভাবে সেতু ভবনের সংস্কার প্রকল্পে ব্যয় দেখানো হয়েছে কোটি কোটি টাকা, অথচ অধিকাংশ কাজ এখনো অসম্পূর্ণ।
এমনকি চলতি বছরের জুন মাসে অসম্পূর্ণ কাজেরও অগ্রিম বিল ছাড় দেওয়া হয়েছে— যার পেছনে রয়েছে মোটা অংকের ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ।

সূত্র জানা গেছে, প্রকৌশলী ডিউক তার ঘনিষ্ঠ আওয়ামীপন্থী ঠিকাদারদের জন্য আলাদা একটি ‘ভিআইপি তালিকা’ রাখেন। এই তালিকার নামগুলোই পরে টেন্ডারে “নির্বাচিত” হয়— যাতে কাগজে প্রতিযোগিতা থাকলেও বাস্তবে কাজ পায় একই গোষ্ঠী।এই সুবিধাভোগী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে —অনিক ট্রেডিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেড (৪.১৮ কোটি ও ১.৪৮ কোটি টাকার কাজ), এনএল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন (৩.৬০ কোটি টাকার সংস্কার কাজ), খান এন্টারপ্রাইজ (২.৫৩ কোটি টাকার অ্যালুমিনিয়াম জানালা, ফলস সিলিং ও বাউন্ডারি ওয়াল সংস্কার)।প্রতিষ্ঠানগুলোর অধিকাংশেরই রেক্টোফিটিং বা সরকারি ভবন সংস্কারে ন্যূনতম অভিজ্ঞতা নেই বলে অভিযোগ তুলেছেন বঞ্চিত ঠিকাদাররা।

প্রক্সি টেন্ডারের ফাঁদ : দুর্নীতির আরেক কৌশল হিসেবে চালু করা হয়েছে ‘প্রক্সি টেন্ডার’ পদ্ধতি। অর্থাৎ, একই ব্যক্তি ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে দরপত্র জমা দিয়ে কাগজে প্রতিযোগিতা দেখালেও আসলে সব কাজ পায় এক সিন্ডিকেট। ফলে সাধারণ ঠিকাদাররা সম্পূর্ণভাবে বঞ্চিত হচ্ছেন, আর কমিশনভিত্তিক ওই চক্রের সদস্যরা ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা।
জানা গেছে, জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত প্রায়ই অনুপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী ডিউক। নিয়মিত অফিসে না এসে কখনো হাজী ক্যাম্প, কখনো সার্কেল বা জোন অফিসে বসে ফাইলপত্রে সই করতেন— এমন অভিযোগ করেছেন তাঁরই সহকর্মীরা। ফলে বিভাগজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে অসন্তোষ ও ক্ষোভের আগুন।

ডিউকের ঘনিষ্ঠদের ভূমিকা : মহাখালী সাব-ডিভিশনের এসডিই ওয়াহিদ বিন ফরহাদ— ডিউকের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে, কাজ পেতে হলে ঠিকাদারদের কাছ থেকে সরাসরি নগদ টাকা নিতে হয়। না দিলে কাজ বন্ধ করে দেন বা ফাইল আটকে রাখেন। মতিঝিলে দায়িত্বকালীন সময়েও ৪০–৫০% ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে ছিল বলে জানায় গণপূর্তের একাধিক সূত্র।

দুদকের নজরে মহাখালী গণপূর্ত : দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী গণমাধ্যমকে বলেন, “সরকারি অফিসগুলোকে দুর্নীতিমুক্ত করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। মহাখালী গণপূর্তের বিষয়ে প্রাথমিক যাচাই শেষে একটি অনুসন্ধান টিম কাজ শুরু করেছে।”

এ অনুসন্ধান টিমে রয়েছেন পরিচালক আব্দুল মাজেদ, উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার, সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া ও উপসহকারী পরিচালক এলমান আহাম্মদ অনি। তবে অনুসন্ধান শেষ হলেও এখনো রিপোর্ট চূড়ান্ত হয়নি। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, “চাপের মুখেও তদন্তের কাজ অব্যাহত রয়েছে।”

ডিউকের ‘নীরবতা’ : এসব অভিযোগে ফয়জুল ইসলাম ডিউকের বক্তব্য জানতে তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠানো হলেও কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।