০২:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অনিয়ম ও দুনীতির মাধ্যমে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক তিনি

কে এই গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলী লতিফুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
  • আপডেট সময় : ১০:৪২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫ ৬১ বার পড়া হয়েছে

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে দাপট দেখিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক বনে যাওয়া গণপূর্ত অধিদপ্তর শেরেবাংলা নগর-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী লতিফুর রহমান এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে।

জানা গেছে, জুলাই – ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান ঘটনায় সরাসরি আর্থিক সহযোগীতাসহ ছাত্র আন্দোলন বিরুদ্ধে প্রকাশ্য মিছিল মিটিং এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গণপূর্তের একাধিক প্রকৌশলীসহ ৯৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছিল। সেই মামলায় নির্বাহী প্রকৌশলী লতিফুর রহমান এর সম্পৃক্ততা থাকার তাঁকে পুরস্কার হিসেবে গণপূর্ত অধিদপ্তরের শেরেবাংলা নগর -১ এর নির্বাহী প্রকৌশলীর পদটি ভাগিয়ে নেন তিনি।

জানা গেছে, বিগত আওয়ামী সরকারের দোসর সাবেক গৃহায়ণ ও গনপুর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের ছত্র ছায়ায় থেকে ঘুষ দুনীতি স্বর্গরাজ্যে পরিনত করেছিলেন সৈরাচারী পতিত লীগ সরকারের দোসর প্রকৌশলী লতিফুর রহমান।

তাছাড়া দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা হিসেবে লতিফুর রহমানের নাম বর্তমান এবং আওয়ামী সময়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মরত বেশ সুনাম রয়েছে…। বর্তমানে গণপূর্ত শেরেবাংলা নগর -১ এ কর্মরত থেকে অনিয়ম, ঘুষ-দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন চালিয়ে যাচ্ছে টেন্ডার বানিজ্যের মাধ্যমে।

সূত্র জানায়, তার অধিনে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট, শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, জাতীয় মানসিক হাসপাতাল, শিশু হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতাল সংসদ ভবন সহ সরকারি একাধিক স্থাপন এর মেরামত – সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী লতিফুর রহমান। কাজের বিপরীত অতিরিক্ত দরে মালামাল কেনাকাটা পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দিয়ে আহবান কৃত টেন্ডারের গোপন দর প্রদান করা এবং তার অধিনে নির্মান ও সংস্কার কাজের বিপরীতে প্রাক্কলন তৈরির সময় অস্বাভাবিক দর নির্ধারণ করা।তাছাড়া তিনি জোরপুর্বক জুনিয়র অফিসারদেরকে দিয়ে তাৎক্ষণিক তাঁর মনগড়া বানানো প্রাক্কলনে সাক্ষর করতে বাধ্য করছেন এই প্রকৌশলী।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে গণপূর্ত অধিদপ্তরের একাধিক প্রকৌশলী এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, আওয়ামী থেকে এখন বড় বিএনপি নিজেকে দাবি করছেন। তাছাড়া তিনি ঢাকার বাহিরে খুলনায়সহ বিভিন্ন জায়গায় যেখানেই ছিলেন সেখানেই অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন। বর্তমানে তিনি যা করছেন তা বলে শেষ করা যাবে না। তার যাকে পছন্দ তাকেই কাজ দিবেন তিনি বিনিময়ে সেই ঠিকাদার এর কাছ থেকে বিপুল অবৈধ সুযোগ সুবিধা নেন প্রকৌশলী লতিফুর রহমান।

তারা আরো জানান, বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র গণভবন ও সংসদ ভবন দায়িত্বে থাকায় এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা বিনা টেন্ডারের ও ভাউচারের মাধ্যমে শতকোটি টাকার কাজে অর্ধেকটাই আত্মসাৎ করেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।

তারা আরো জানান, কোটি টাকার মিশন নিয়ে এই প্রকৌশলী (লতিফুর রহমান) এখন পদন্নোতি পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্তা ব্যক্তিদের নিকট ঘুরছেন।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের একাধিক ঠিকাদার এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, গনপুর্ত অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তাদের নিকট সুপরিচিত মিষ্টার ১৫ পার্সেন্ট নামে মহা ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ নির্বাহী প্রকৌশলী লতিফুর রহমান। কিন্তু এখানে যাদের হাতে ক্ষমতা থাকে তাদের ইচ্ছায় সব হয়। ছাত্র-জনতা হত্যার পাশাপাশি অনেকে দুর্নীতির সঙ্গেও জড়িত। তারা এখন পদোন্নোতি নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। তাছাড়া লতিফুর রহমানসহ অনেকেই গণপূর্তে প্রকৌশলী জি কে শামীমের সঙ্গে সখ্য গড়ে ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। এখনো তাঁরাই আবারও বেপরোয়া হয়ে ঘুষ দুনীতি চালিয়ে যাচ্ছেন।

সূত্রে জানা গেছে, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী কর্যালয়ের প্রতিষ্ঠানটির একাধিক প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী একাধিক হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে আছেন মর্মে হত্য মামলা রেকর্ড হলেও আজও পর্যন্ত তারা রয়ে গেছেন সকাল ধরাছোঁয়ার বাইরে। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতি করে শত শত কোটি টাকার মালিক হওয়া প্রকৌশলী লতিফুর রহমান জুলাই-আগস্টে আন্দোলন দমনে কোটি কোটি টাকা জোগান দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনিসহ অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ জমা আছে এবং তদন্ত চলছে।

এছাড়াও আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুর্নীতিতে সামনের সারিতে থাকা এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তখন ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরের কথা, লতিফুর রহমানকে বারবার পুরস্কৃত করা হয়েছে।

মামলার পর থেকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী নির্বাহী প্রকৌশলী লতিফুর রহমান বহাল তবিয়তে অফিস করছেন। নেই তাঁর মাঝে কোন গ্রেপ্তার আতঙ্ক। তার বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় মামলা যার নং সি আর ৬৩/২৫ থানার এফ আই আর মামলা নং ০৬ তারিখ ০৩ মার্চ ২০২৫।

অন্যদিকে দুর্নীতির দায়েও লতিফুর রহমানকে বিচারের মুখোমুখি করা হতে পারে বলে জানা গেছে বিশ্বস্থ সুত্রে। লীগের দোসর অনেক কর্মকর্তা কর্মচারীদের কে দেশের বিভিন্ন জেলায় বদলী করা হলেও নির্বাহী প্রকৌশলী লতিফুর রহমান এখনো রয়েগেছেন বহাল তরিয়াতে।

জানা গেছে, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারের একান্ত আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত লতিফুর রহমান। সকল অপকর্মের মূল হোতা লতিফুর রহমান শামীম আখতারের আস্থাভাজন হওয়ার তার সকল অপকর্ম পার পেয়ে গেছেন।

তাছাড়া প্রকৌশলী লতিফুরের বিভিন্ন অপকর্ম আড়াল করতে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান কার্যলয়ের বিভিন্ন অতিরিক্ত প্রকৌশলীদের ম্যানেজ করে চলেন। যে কারণে বেপরোয়া হয়ে ঘুষ দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন হরহামেশাই।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে পরিচিত প্রকৌশলীর লতিফুর রহমানসহ অনেকের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন, রামপুরা ও সাভার থানায় পৃথক হত্যা মামলা হয়েছে। মামলা হয়েছে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেও। এদের মধ্যে লতিফুর সহ অনেকেই ছিলেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সক্রিয় সদস্য।

বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের সময় লতিফুর রহমানসহ কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডসহ দলীয়করণ ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তারা বিগত সরকারের সময় সুযোগ-সুবিধা ভোগ ও দুর্নীতি-অনিয়ম করেছেন, তাদের অবশ্যই বিচার হওয়া উচিত বলে মনে করেন গনপুর্ত অধিদপ্তরের কর্মরত সাধারণ কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

এসব অভিযোগের বিষয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তর শেরেবাংলা নগর-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী লতিফুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এই বিষয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী খালেকুজ্জামান চৌধুরী এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, আমি কিছু দিন হয়েছে প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে এসেছি। কোন অপরাধী ছাড় পাবে না। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

এই বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

অনিয়ম ও দুনীতির মাধ্যমে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক তিনি

কে এই গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলী লতিফুর রহমান

আপডেট সময় : ১০:৪২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে দাপট দেখিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক বনে যাওয়া গণপূর্ত অধিদপ্তর শেরেবাংলা নগর-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী লতিফুর রহমান এখনো ধরাছোঁয়ার বাহিরে।

জানা গেছে, জুলাই – ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান ঘটনায় সরাসরি আর্থিক সহযোগীতাসহ ছাত্র আন্দোলন বিরুদ্ধে প্রকাশ্য মিছিল মিটিং এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গণপূর্তের একাধিক প্রকৌশলীসহ ৯৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছিল। সেই মামলায় নির্বাহী প্রকৌশলী লতিফুর রহমান এর সম্পৃক্ততা থাকার তাঁকে পুরস্কার হিসেবে গণপূর্ত অধিদপ্তরের শেরেবাংলা নগর -১ এর নির্বাহী প্রকৌশলীর পদটি ভাগিয়ে নেন তিনি।

জানা গেছে, বিগত আওয়ামী সরকারের দোসর সাবেক গৃহায়ণ ও গনপুর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের ছত্র ছায়ায় থেকে ঘুষ দুনীতি স্বর্গরাজ্যে পরিনত করেছিলেন সৈরাচারী পতিত লীগ সরকারের দোসর প্রকৌশলী লতিফুর রহমান।

তাছাড়া দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা হিসেবে লতিফুর রহমানের নাম বর্তমান এবং আওয়ামী সময়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মরত বেশ সুনাম রয়েছে…। বর্তমানে গণপূর্ত শেরেবাংলা নগর -১ এ কর্মরত থেকে অনিয়ম, ঘুষ-দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন চালিয়ে যাচ্ছে টেন্ডার বানিজ্যের মাধ্যমে।

সূত্র জানায়, তার অধিনে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট, শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, জাতীয় মানসিক হাসপাতাল, শিশু হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান হাসপাতাল সংসদ ভবন সহ সরকারি একাধিক স্থাপন এর মেরামত – সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী লতিফুর রহমান। কাজের বিপরীত অতিরিক্ত দরে মালামাল কেনাকাটা পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দিয়ে আহবান কৃত টেন্ডারের গোপন দর প্রদান করা এবং তার অধিনে নির্মান ও সংস্কার কাজের বিপরীতে প্রাক্কলন তৈরির সময় অস্বাভাবিক দর নির্ধারণ করা।তাছাড়া তিনি জোরপুর্বক জুনিয়র অফিসারদেরকে দিয়ে তাৎক্ষণিক তাঁর মনগড়া বানানো প্রাক্কলনে সাক্ষর করতে বাধ্য করছেন এই প্রকৌশলী।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে গণপূর্ত অধিদপ্তরের একাধিক প্রকৌশলী এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, আওয়ামী থেকে এখন বড় বিএনপি নিজেকে দাবি করছেন। তাছাড়া তিনি ঢাকার বাহিরে খুলনায়সহ বিভিন্ন জায়গায় যেখানেই ছিলেন সেখানেই অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন। বর্তমানে তিনি যা করছেন তা বলে শেষ করা যাবে না। তার যাকে পছন্দ তাকেই কাজ দিবেন তিনি বিনিময়ে সেই ঠিকাদার এর কাছ থেকে বিপুল অবৈধ সুযোগ সুবিধা নেন প্রকৌশলী লতিফুর রহমান।

তারা আরো জানান, বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র গণভবন ও সংসদ ভবন দায়িত্বে থাকায় এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা বিনা টেন্ডারের ও ভাউচারের মাধ্যমে শতকোটি টাকার কাজে অর্ধেকটাই আত্মসাৎ করেছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।

তারা আরো জানান, কোটি টাকার মিশন নিয়ে এই প্রকৌশলী (লতিফুর রহমান) এখন পদন্নোতি পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্তা ব্যক্তিদের নিকট ঘুরছেন।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের একাধিক ঠিকাদার এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, গনপুর্ত অধিদপ্তরের সকল কর্মকর্তাদের নিকট সুপরিচিত মিষ্টার ১৫ পার্সেন্ট নামে মহা ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ নির্বাহী প্রকৌশলী লতিফুর রহমান। কিন্তু এখানে যাদের হাতে ক্ষমতা থাকে তাদের ইচ্ছায় সব হয়। ছাত্র-জনতা হত্যার পাশাপাশি অনেকে দুর্নীতির সঙ্গেও জড়িত। তারা এখন পদোন্নোতি নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। তাছাড়া লতিফুর রহমানসহ অনেকেই গণপূর্তে প্রকৌশলী জি কে শামীমের সঙ্গে সখ্য গড়ে ব্যাপক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। এখনো তাঁরাই আবারও বেপরোয়া হয়ে ঘুষ দুনীতি চালিয়ে যাচ্ছেন।

সূত্রে জানা গেছে, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী কর্যালয়ের প্রতিষ্ঠানটির একাধিক প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলী একাধিক হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে আছেন মর্মে হত্য মামলা রেকর্ড হলেও আজও পর্যন্ত তারা রয়ে গেছেন সকাল ধরাছোঁয়ার বাইরে। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বিভিন্ন প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতি করে শত শত কোটি টাকার মালিক হওয়া প্রকৌশলী লতিফুর রহমান জুলাই-আগস্টে আন্দোলন দমনে কোটি কোটি টাকা জোগান দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনিসহ অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ জমা আছে এবং তদন্ত চলছে।

এছাড়াও আওয়ামী লীগ সরকারের সময় দুর্নীতিতে সামনের সারিতে থাকা এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তখন ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরের কথা, লতিফুর রহমানকে বারবার পুরস্কৃত করা হয়েছে।

মামলার পর থেকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সুবিধাভোগী নির্বাহী প্রকৌশলী লতিফুর রহমান বহাল তবিয়তে অফিস করছেন। নেই তাঁর মাঝে কোন গ্রেপ্তার আতঙ্ক। তার বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় মামলা যার নং সি আর ৬৩/২৫ থানার এফ আই আর মামলা নং ০৬ তারিখ ০৩ মার্চ ২০২৫।

অন্যদিকে দুর্নীতির দায়েও লতিফুর রহমানকে বিচারের মুখোমুখি করা হতে পারে বলে জানা গেছে বিশ্বস্থ সুত্রে। লীগের দোসর অনেক কর্মকর্তা কর্মচারীদের কে দেশের বিভিন্ন জেলায় বদলী করা হলেও নির্বাহী প্রকৌশলী লতিফুর রহমান এখনো রয়েগেছেন বহাল তরিয়াতে।

জানা গেছে, সাবেক প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারের একান্ত আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত লতিফুর রহমান। সকল অপকর্মের মূল হোতা লতিফুর রহমান শামীম আখতারের আস্থাভাজন হওয়ার তার সকল অপকর্ম পার পেয়ে গেছেন।

তাছাড়া প্রকৌশলী লতিফুরের বিভিন্ন অপকর্ম আড়াল করতে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান কার্যলয়ের বিভিন্ন অতিরিক্ত প্রকৌশলীদের ম্যানেজ করে চলেন। যে কারণে বেপরোয়া হয়ে ঘুষ দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন হরহামেশাই।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে পরিচিত প্রকৌশলীর লতিফুর রহমানসহ অনেকের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন, রামপুরা ও সাভার থানায় পৃথক হত্যা মামলা হয়েছে। মামলা হয়েছে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেও। এদের মধ্যে লতিফুর সহ অনেকেই ছিলেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সক্রিয় সদস্য।

বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের সময় লতিফুর রহমানসহ কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডসহ দলীয়করণ ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তারা বিগত সরকারের সময় সুযোগ-সুবিধা ভোগ ও দুর্নীতি-অনিয়ম করেছেন, তাদের অবশ্যই বিচার হওয়া উচিত বলে মনে করেন গনপুর্ত অধিদপ্তরের কর্মরত সাধারণ কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

এসব অভিযোগের বিষয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তর শেরেবাংলা নগর-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী লতিফুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এই বিষয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী খালেকুজ্জামান চৌধুরী এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, আমি কিছু দিন হয়েছে প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে এসেছি। কোন অপরাধী ছাড় পাবে না। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

এই বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।