মামলার আসামি বিশেষ মিশন গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলী পদ

- আপডেট সময় : ০৪:০৭:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৭৮ বার পড়া হয়েছে
গণপূর্তের প্রধান প্রকৌশলীর দৌড়ে ফ্যাসিবাদের দোসর, পল্টন মডেল থানার ছাত্র ও জনতা হত্যা মামলা দায়ের আসামী মো. শামছুদ্দোহা। ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট তারিখে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর অফিস কক্ষে শেখ হাসিনার সরকার টিকিয়ে রাখতে আরও পাচ শত ছাত্র হত্যার পরিকল্পনা ও অর্থ যোগান বিষয় সিদ্ধান্ত হন।
এই মো. শামছুদ্দোহা ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলের গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান মুন্সী ওরফে টিপু মুন্সির ভায়রা। ২০১৬ সালে মো. হাফিজুর রহমান মুন্সী ওরফে টিপু মুন্সি প্রধান প্রকৌশলী থাকাকালীন তখন সবচেয়ে বেশি লোভনীয় ও অধিক প্রকল্পের সার্কেল সাভার সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ছিলেন ফ্যাসিবাদ সরকারের গুরুত্বপূর্ন সরকারি আবসান প্রকল্পের দশ হাজার কোটি টাকার দরপত্র মূল্যায়ন করেন ও কুশলী নির্মাতা,এনডিই, সহ ফ্যাসিবাদের দোসরদের কাজ দিয়ে টেন্ডার বানিজ্যের সিন্ডিকেট করে শত কোটি হাতিয়ে নেন শামছুদ্দোহা।
ছাত্র জীবনে শামছুদ্দোহা ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন পরবর্তীতে বুয়েটে ছাত্রলীগের ধারা অব্যাহত রেখে হল শাখা ছাত্র লীগের নেতা নির্বাচিত হয়। এই শামছুদ্দোহা ২০০৯ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত অদ্যবধি বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
শামছুদ্দোহা ঢাকার বাহিরে হাফিজুর রহমান মুন্সী চলে যাওয়ার পর একবার চাকরি করেন, ঢাকায় রমানার উপবিভাগীয় প্রকৌশলী, মহাখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী, নারায়নগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী, সাভার সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পরে ময়মনসিংহে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হয়ে ফ্যাসিবাদ সরকারের সাবেক প্রতি মন্ত্রী মো. শরীফ আহমেদের সাথে সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে ময়মনসিংহ জোন লুটেপুটে খান তার সাথে অন্যতম সহযোগী ছিলেন তৎকালীন ময়মনসিংহের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সাইফুজ্জামান চুন্নু ময়মনসিংহ গণপূর্ত বিভাগে চারগুন এপিপি বরাদ্দ বেশি বাগিয়ে নেন এবং ময়মনসিংহ গণপূর্ত বিভাগে বিশ কোটি টাকা বকেয়া করেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের নির্দেশে যার প্রাক্কলন ও টেক অনুমোদন করেন শামছুদ্দোহা তার নির্দেশে গোটা ময়মনসিংহ জোন চলে।
তখন ময়মনসিংহ জোনের সকল ডিভিশনের মডেল মসজিদের নির্মান প্রকল্পের কাজের দরপত্র আহবান প্রক্রিয়ায় প্রাক্কলন অনুমোদন দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন শামছুদ্দোহা। সাবেক পূর্তমন্ত্রী শরীফ আহমেদের লোকজনকে কাজ দিতে ময়মনসিংহ গণপূর্ত বিভাগে এপিপির কাজ এলটিএম পদ্ধতির পরিবর্তে ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহবান করার অনুমোদন দেন শামছুদ্দোহা মন্ত্রীর নির্দেশে এই ফ্যাসিবাদের অন্যতম দোসর শামছুদ্দোহা এখন বহাল তবিয়তে ঢাকা দাপিয়ে বেড়িয়েছেন এবং টাকার বস্তা নিয়ে প্রধান প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্ব নেওয়ার জন্য বিভিন্ন জায়গায় লবিং তদবির করছেন।
বর্তমানে শামছুদ্দোহা অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সংস্থাপন ও সমন্বয় হওয়ার সুবাদে ঢাকায় মন্ত্রণালয় জোর তদবির করতে পারছেন খুব সহযে তাই ঢাকার ভিতরের অনেক নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছ টাকা তুলে প্রধান প্রকৌশলীর দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন অনেক প্রকৌশলী মনে করেন বলেন প্রতিবেদকের কাছে মন্তব্য করেন।
এই শামছুদ্দোহা সাবেক পূর্তমন্ত্রী শরীফ আহমেদকে ও নিজ জেলা জামালপুর হওয়ায় মির্জা আজমের হাত ধরে মোসলেহউদ্দিন সরিয়ে ঢাকা গণপূর্ত জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর পোস্টিং বাগিয়ে নেন। তারপর সেই মিরপুরের ও সাভারেরপ করেন গণপূর্ত সম্পদ বিভাগের একটি আলোচিত একশত বিশ কোটি টাকার টেন্ডার আওয়ামীলীগ ফ্যাসিবাদ সিন্ডিকেট দেন তখন সম্পদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ছিলেন মো. নাসির উদ্দিন খান এই নাসির উদ্দিন খান শামছুদ্দোহার প্রভাবে মাছ চুরির মত জঘন্য অপরাধ করে বিভিন্ন পত্রিকায় শিরোনাম হন।
মো.শামছুদ্দোহা নামে-বেনামে শত কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। বসুন্ধারা আবাসিক এলাকার ডি ব্লক একটি ফ্ল্যাট, বারিধারায় একটি ফ্ল্যাট রয়েছে, জামালপুর জেলার শরিষা বাড়িতে একটি বিলাসবহুল বাড়ি নির্মান করেছেন এবং শরিষাবাড়িতে এক দাগে দশ একর জমি ক্রয় করছেন রির্সোট নিমান করার জন্য।