কমিশন বানিজ্যের কারণে মুখ থুবড়ে পড়েছে কার্যক্রম
গণপূর্তের প্রকৌশলী আশরাফুল গড়ে তুলেছেন নিজস্ব সিন্ডিকেট

- আপডেট সময় : ০৩:০৫:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ২৮ বার পড়া হয়েছে
নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল একই কর্মস্থলে দীর্ঘদিন কর্মরত থেকে ঘুষ অনিয়ম দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন দেদারসে।
একাধীক সুত্রে যানা যায়, বিগত লীগ সরকারের আমলে দাপট দেখিয়ে গনপুর্ত অধিদপ্তরের কর্মরত থেকে ঘুষ দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিনত করেছিলেন তিনি। এখনো রয়েগেছেন বহাল তরিয়াতে।
স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল গড়ে তুলেছেন সু বিশাল নিজস্ব সিন্ডিকেট।
তাঁর অবৈধ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বনে গেছেন রাতারাতি কোটি পতি। রাতকে দিন আর দিনকে রাত বানানো তাঁর কাজ। বেপরোয়া কমিশন বানিজ্যর কারন মুখ থুবড়ে পড়েছে তাঁর অধিনে সকল কার্যক্রম।
সুত্রে আরও জানা যায়, ঢাকায় ৮ বছর ধরে একই পদে গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুলের প্রভাব ও অনিয়ম করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন দেদারসে এ যেন দেখার কেউ নেই।
গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুলের প্রভাব ও অনিয়মের অভিযোগ ভুরি ভুরি থাকলেও তিনি ইলেক্ট্রিক্যাল ও মেকানিক্যাল (ই/এম) বিভাগ-১-এর নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে গত আট বছর ধরে একই পদে বহাল আছেন।
সরকারি বিধি বিধানে তিন বছরের অধিক সময় একই কর্মস্থলে থাকতে পারবেনা অথচ তার বেলায় উল্টো। নির্বাহী প্রকৌশলীদের এক জায়গায় তিন বছরের বেশি থাকা উচিত নয়, অথচ আশরাফুলের এই দীর্ঘ অবস্থান শুধু নীতিমালা লঙ্ঘনই নয়, বরং প্রতিষ্ঠিত প্রভাব ও দুর্নীতির ইঙ্গিত বহন করে।
মহা-দুর্নিতীবাজ নির্বাহী প্রকৌশলী ড.আশরাফুল এর অধিনে গণভবন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের মেরামত সংস্কার কাজের বিপরীতে ও ভুয়া বিল ভাওছারের বানিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বনে গেছেন কোটিপতি।
স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে গণভবন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সহ সরকারের সেই সকল দপ্তরে মেরামত সংস্কার কাজের বিপরীতে অতিরিক্ত বরাদ্ধ নিয়ে নাম মাত্র কাজকরে সমূদয় টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
আলোচিত-সমালোচিত রুপ পুর বালিশ কাণ্ডে অনেক কর্মকর্তা দের চাকরিচুত কিংবা সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও অদৃশ্য শক্তির কারণে এখনো বহালে চাকরি করছেন নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল।
২০২১ সালের ৫ আগস্ট গণপূর্ত উপদেষ্টা দপ্তর থেকে এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল তিন বছরের বেশি সময় ধরে একই পদে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলীদের বদলি করতে হবে, যাতে অপারদর্শিতা, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির চক্র ভাঙা যায়। কিন্তু আশরাফুল ইসলামের ক্ষেত্রে এ নিয়ম কার্যকর হয়নি।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে আলোচিত দুর্নীতির মামলায় নাম থাকায় তার পদোন্নতি বন্ধ রয়েছে। তবুও ঢাকার মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তিনি বছরের পর বছর দায়িত্ব পালন করছেন যা মুখরোচক আলোচনার বিষয়বস্তু হয়েছে গনপুর্ত অধিদপ্তরের কর্মরত সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাঝে।
সুত্রে আরও যানা গেছে, ড. আশরাফুলের ডিভিশনে ঠিকাদারি সিন্ডিকেটের প্রভাব গভীর। দরপত্র ছাড়াই কাজ শুরু, পরে প্রাক্কলন ও টেন্ডার আহ্বান করা তার ডিভিশনে অঘোষিত নীতি হিসেবে প্রচলিত।
একজন জুনিয়র কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দুর্নীতি না করলে এখানে টিকে থাকা সম্ভব না। আশরাফ জানেন কাকে কোথায় লাগাতে হয়। উনি ম্যানেজিং-এর মাস্টার মাইন্ড।
বিগত সময়ে সোহাবান বাগ মসজিদ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে সিভিল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে বদলি করা হলেও আশরাফুল বহাল রয়েছেন।উত্তরবঙ্গীয় কোটা ও ব্যক্তিগত প্রভাবের জোরে তিনি ‘বিশেষ সুবিধাভোগী’ বলে দাবি অনেকের।
টানা আট বছর গণভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকার ফলে আশরাফুলের মাঝে এক ধরনের ‘অদৃশ্য কর্তৃত্ব’ গড়ে উঠেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তার সমব্যাচের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও তাকে নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ।
তার বেপরোয়া ঘুষ দুনীতি নিন্মমানের কাজের বিপরীতে ঠিকাদার দের সাথে আতাত করে কমিশন বানিজ্য সহ নানান, ঘটনা সরকারি প্রশাসনের দুর্বলতা ও দায়বদ্ধতার অভাবকে স্পষ্ট করে।
গত ৫ আগস্টের মতো উচ্চাশী ঘোষণাগুলো নথির পাতায় জমে থাকার পেছনে তাঁর বিরুদ্ধে উঠে আসা দুনীতি প্রভাবই মূল কারণ।
আর মাত্র চার বছর পর আশরাফুল একই পদে থেকে এক যুগ পূর্ণ করবেন তখন কি বদলি হবেন, নাকি নতুন রেকর্ড গড়বেন সে প্রশ্ন এখন সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। গত ২০২৪ সালে ছাত্র আন্দোলন বিরুদ্ধে প্রকাশ্য মিছিল মিটিং করা লীগ সরকারের দোসর নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল এখনো রয়েগেছেন বহাল তরিয়াতে।
গনপুর্ত অধিদপ্তরের উর্ধতন কর্মকর্তাদেরকে ম্যানেজ করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন মহা ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ নির্বাহী প্রকৌশলী ড. আশরাফুল।