০৮:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী সাত্তার ও সানাউল্লাহকে প্রাইজ পোস্টিং দিলেন প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
  • আপডেট সময় : ০৪:৪০:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৭১ বার পড়া হয়েছে

ফ্যাসিবাদের শাসনামলে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীদের আবারও পূনর্বাসন করা হলো গুরুত্বপূর্ণ পোস্টিং দিয়ে। চার বছর সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার দায়িত্ব পালন করা ফ্যাসিবাদের আস্থাভাজন ইডেন গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুস সাত্তারকে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা ডিভিশন-২ এ বদলি করা হয়েছে। যার দায়িত্বে থাকবে বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, গণভবনসহ ভিআইপি স্থাপনাগুলো।

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রধামন্ত্রীর কার্যালয়, গণভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার দায়িত্ব পালন করা ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী এএসএম সানাউল্লাহকে দেয়া হয়েছে নবগঠিত শেরে বাংলা নগর বিভাগ-৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্ব। ঘুরে ফিরে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পদায়ন এক ধরনের ‘স্যাবোটাজ’ বলে ভাবছেন গণপূর্তের কর্মকর্তারা।

তারা বলছেন, ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগী ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগী গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী সাত্তার ও সানাউল্লাহকে প্রাইজ পোস্টিং দিলেন প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার শামীম আখতার তার ব্যাচের ৭ নম্বরে থাকার পরেও প্রধান প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্ব পালন করছেন প্রায় পাঁচ বছর ধরে।

সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বে থাকা সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকারের আস্থাভাজন হিসেবে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করেও অনিয়মতান্ত্রিকভাবে চলতি দায়িত্ব পালন করে গেছেন শামীম আখতার।

ফ্যাসিবাদের পতনের এক বছর পরেও কোন জাদুবলে সে বহাল তবিয়তে রয়েছে তা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। ধারণা করা হচ্ছে, বিদায়ের শেষ মুহুর্তে গণপূর্তের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সাত্তার ও সানাউল্লাহদের পদায়নের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ পূনর্বাসন প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখা হচ্ছে।

সম্প্রতি গত (৪ সেপ্টেম্বর) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সন্ধ্যায় আব্দুস সাত্তার ও সানাউল্লাহর বদলির আদেশে স্বাক্ষর করে প্রধান প্রকৌশলী।

আব্দুস সাত্তার ইডেন গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকাকালে বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা ও থোক বরাদ্দের বেশিরভাগ টাকাই লুটপাট করেছেন।

তাকে মূলত: রাখা হয়েছিল প্রধান প্রকৌশলীর দুর্নীতি সম্পর্কিত ফাইলগুলো ধামাচাপা দেয়ার কাজে। আর সানাউল্লাহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও বঙ্গভবনের ক্ষমতা প্রদর্শন করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার দায়িত্ব পালনকালে সম্পাদিত কাজ ও বিলের তদন্ত করলে এর ৮০ ভাগ কাজের কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না।

এ ছাড়া একদিন আগে বহু দুর্নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুল ইসলাম খানকে হেড অফিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর (সমন্বয়) দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে তিনি সাবেক চিফ হুইপ লিটন চৌধুরীর আস্থাভাজন হিসেবে সংসদ ভবন ও মাদারীপুর ডিভিশনে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে টাকার পাহাড় গড়েছেন। চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালন কালে তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঠিকাদাররা মানববন্ধন করেছিল।

চট্টগ্রাম বিভাগ-১ এ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মীর রাসেদুল করিমকে। তাকে কুমিল্লা থেকে ময়মনসিংহ গণপূর্ত বিভাগে বদলি করা হয়েছিল। এছাড়া ময়মনসিংহ গণপূর্ত বিভাগে বদলি করা হয়েছে অর্ণব বিশ্বাসকে।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে রিজার্ভে ছিলেন। এছাড়া গোপালগঞ্জ গণপূর্ত জোনের স্টাফ অফিসার নাহিদ আফরোজকে গবেষণা ও উন্নয়ন ইউনিটে সংযুক্ত করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী সাত্তার ও সানাউল্লাহকে প্রাইজ পোস্টিং দিলেন প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার

আপডেট সময় : ০৪:৪০:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফ্যাসিবাদের শাসনামলে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীদের আবারও পূনর্বাসন করা হলো গুরুত্বপূর্ণ পোস্টিং দিয়ে। চার বছর সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার দায়িত্ব পালন করা ফ্যাসিবাদের আস্থাভাজন ইডেন গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুস সাত্তারকে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা ডিভিশন-২ এ বদলি করা হয়েছে। যার দায়িত্বে থাকবে বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, গণভবনসহ ভিআইপি স্থাপনাগুলো।

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে প্রধামন্ত্রীর কার্যালয়, গণভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার দায়িত্ব পালন করা ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী এএসএম সানাউল্লাহকে দেয়া হয়েছে নবগঠিত শেরে বাংলা নগর বিভাগ-৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্ব। ঘুরে ফিরে ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগীদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পদায়ন এক ধরনের ‘স্যাবোটাজ’ বলে ভাবছেন গণপূর্তের কর্মকর্তারা।

তারা বলছেন, ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগী ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগী গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী সাত্তার ও সানাউল্লাহকে প্রাইজ পোস্টিং দিলেন প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার শামীম আখতার তার ব্যাচের ৭ নম্বরে থাকার পরেও প্রধান প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্ব পালন করছেন প্রায় পাঁচ বছর ধরে।

সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ ও শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বে থাকা সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকারের আস্থাভাজন হিসেবে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করেও অনিয়মতান্ত্রিকভাবে চলতি দায়িত্ব পালন করে গেছেন শামীম আখতার।

ফ্যাসিবাদের পতনের এক বছর পরেও কোন জাদুবলে সে বহাল তবিয়তে রয়েছে তা নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। ধারণা করা হচ্ছে, বিদায়ের শেষ মুহুর্তে গণপূর্তের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সাত্তার ও সানাউল্লাহদের পদায়নের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ পূনর্বাসন প্রক্রিয়াকে অব্যাহত রাখা হচ্ছে।

সম্প্রতি গত (৪ সেপ্টেম্বর) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সন্ধ্যায় আব্দুস সাত্তার ও সানাউল্লাহর বদলির আদেশে স্বাক্ষর করে প্রধান প্রকৌশলী।

আব্দুস সাত্তার ইডেন গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে থাকাকালে বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা ও থোক বরাদ্দের বেশিরভাগ টাকাই লুটপাট করেছেন।

তাকে মূলত: রাখা হয়েছিল প্রধান প্রকৌশলীর দুর্নীতি সম্পর্কিত ফাইলগুলো ধামাচাপা দেয়ার কাজে। আর সানাউল্লাহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও বঙ্গভবনের ক্ষমতা প্রদর্শন করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তার দায়িত্ব পালনকালে সম্পাদিত কাজ ও বিলের তদন্ত করলে এর ৮০ ভাগ কাজের কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না।

এ ছাড়া একদিন আগে বহু দুর্নীতির সঙ্গে সম্পর্কিত চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুল ইসলাম খানকে হেড অফিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর (সমন্বয়) দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে তিনি সাবেক চিফ হুইপ লিটন চৌধুরীর আস্থাভাজন হিসেবে সংসদ ভবন ও মাদারীপুর ডিভিশনে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে টাকার পাহাড় গড়েছেন। চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালন কালে তার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঠিকাদাররা মানববন্ধন করেছিল।

চট্টগ্রাম বিভাগ-১ এ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মীর রাসেদুল করিমকে। তাকে কুমিল্লা থেকে ময়মনসিংহ গণপূর্ত বিভাগে বদলি করা হয়েছিল। এছাড়া ময়মনসিংহ গণপূর্ত বিভাগে বদলি করা হয়েছে অর্ণব বিশ্বাসকে।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে রিজার্ভে ছিলেন। এছাড়া গোপালগঞ্জ গণপূর্ত জোনের স্টাফ অফিসার নাহিদ আফরোজকে গবেষণা ও উন্নয়ন ইউনিটে সংযুক্ত করা হয়েছে।