০৮:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাধা হয়ে দাড়িয়েছেন গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের সচিব

পদোন্নতির জন্য বিপুল টাকা নিয়ে মিশনে নেমেছেন প্রকৌশলী কায়কোবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
  • আপডেট সময় : ০২:৫০:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৫৮ বার পড়া হয়েছে

ক্ষমতা থাকলে নাকি সবকিছুই সম্ভব। অনিয়ম ও হয়ে যায় নিয়মে। তেমনি ইতিহাস হতে চলছে গণপূর্ত অধিদপ্তরে।যেখানে স্বৈরাচার সরকারের সুবিধাভোগী দুর্নীতিবাজ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. কায়কোবাদকে পদোন্নতি দেয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে গণপূর্তের চলতি দায়িত্বে থাকা প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার।

প্রায় তিন সপ্তাহ আগে তাকে পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী করার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও কায়কোবাদের দুর্নীতি, গোয়েন্দা সংস্থা ও দুদকের ছাড়পত্র না মেলায় এখনো পদোন্নতি দেয়া হয়নি তাকে।

সবকিছু ধামাচাপা দিয়ে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর পদ বাগাতে নিজের অফিসেই বসছেন না এই তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী। তাঁর দপ্তরে তার অধীনস্থ বিভাগের শতাধিক প্রাক্কলন পড়ে থাকলেও সেগুলো পাশে মনোযোগী না হয়ে দিনভর মন্ত্রণালয়, দুদক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ছাড়পত্র নিতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

ছাত্রজীবনে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় এবং সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলমের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদে সম্পৃক্ত থাকায় মন্ত্রণালয়ের জামাতঘেষা সচিব তার পদোন্নতির ফাইল আটকে রেখেছেন।

দুর্নীতিবাজ জেনেও কায়কোবাদকে পদোন্নতি দেয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগে থাকা গণপূর্তের চলতি দায়িত্বের প্রধান প্রকৌশলী যে শামীম আখতারও নিজে বিগত স্বৈরাচার সরকারের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী। মেধাতালিকার সপ্তম স্থানে থাকা শামীম আখতার সবাইকে ডিঙ্গিয়ে প্রধান প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্ব পেয়েছেলিন শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বে থাকা সাবেক সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকার।

মেধাতালিকার প্রথম পাঁচ নম্বরে না থাকায় ফ্যাসিস্ট সরকার আমলেও তাকে প্রধান প্রকৌশলী পদে নিয়মিত করা যায়নি। এখনও তিনি চলতি দায়িত্বেই রয়েছেন। যা সম্পূর্ণ অবৈধ।

গণপূর্তের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলমের বিশ্বস্ত সহচর ও বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতারের আস্থাভাজন গণপূর্তের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ। তার অব্যাহত দুর্নীতির কারণে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, তার মতো একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হলে তা সরকারের ইমেজকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

কর্মজীবনে মো. কায়কোবাদ ইএম ডিভিশন-৭সহ ইএম-এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ডিভিশনের দায়িত্ব পালনকালে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হন। বিশেষ করে ইএম ডিভিশন-৭ এ দায়িত্ব পালনকালে কোনো কাজ না করেই ভুয়া প্রাক্কলন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।

আওয়ামী লীগের আস্থাভাজন হিসেবে তিনি জাতীয় সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, গণভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ ও সার্কেলের দায়িত্ব পালন করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।

মুজিববর্ষ উদযাপনে গণপূর্ত অধিদপ্তর যে ৪শ’ কোটি টাকারও বেশি খরচ করে তার একটি বড় অংশ হাতিয়ে নেন তিনি। তৎকালীণ প্রধান প্রকৌশলী বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের নেতা আশরাফুল আলমের হয়ে তিনি সকল টেন্ডার থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।
গণপূর্ত ভবনে প্রচলিত রয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ, স্টাফ অফিসার নির্বাহী প্রকৌশলী শফিউল হান্নান ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কল্যাণ কুন্ডুর সংকেত ছাড়া কেউ কাজ পেতো না। সে সময়ে জিকে শামীমের বাতিল হওয়া কাজগুলোকে বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দেয়ার জন্য এই তিনজন প্রধান প্রকৌশলীর হয়ে কমিশন তুলতেন।

ইএম সার্কেল-১ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, ইএম সার্কেল চট্টগ্রামের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী থাকাকালে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। সবচেয়ে বেশি টাকা হাতিয়েছেন মিরপুরে হওয়া সরকারি আবাসিক ভবনের টেন্ডার থেকে। যার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল তৎকালীন মিরপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আমান উল্লাহ সরকার।

এমনই এক দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলী মো. কায়কোবাদকে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি প্রদান করলে অন্তবর্তীকালীন সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সচিব মো. নজরুল ইসলামের মতো আমলা কায়কোবাদের মতো মুজিববাদী প্রকৌশলীকে পদোন্নতি প্রদানে কতোটা সম্মত হবেন তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি এবং ই/এম জোনের দায়িত্ব পেতে কমপক্ষে ১০ কোটি টাকার মিশন নিয়ে নেমেছেন এই প্রকৌশলী। ইতিমধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টার বন্ধু এক মানবাধিকার কর্মীকে ম্যানেজ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। এখন দেখার বিষয়, বর্তমান সচিব ও এ্যাডমিনিস্টেশন এসোসিয়েশনের সভাপতিকে কতোটা গলাতে পারেন এই কায়কোবাদ।
এসব অভিযোগের বিষয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ এর সঙ্গে কথা বলার জন্য মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে গণপূর্ত অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, এই লোক কত বড় লেভেলের দুর্নীতিবাজ তা বলে শেষ করা যাবে না। তার টেবিলে কোন ফাইল গেলেই কমিশন ছাড়া সই মিলে না।তাছাড়া কিছুদিন আগেও তার নিজ বাড়ি সাভার নিয়েও হয়েছে ব্যাপক আলোচনা একজন কর্মকর্তা কিভাবে কোটি টাকার বাড়ি তৈরি করেন। নামে বেনামে শত কোটি টাকা কামিয়েছেন।

এই বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন তার বিরুদ্ধে বেশকিছু দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সেগুলো যাচাই-বাছাই না করে কোন পদোন্নতি দেওয়া হবে না।

এই বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

বাধা হয়ে দাড়িয়েছেন গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের সচিব

পদোন্নতির জন্য বিপুল টাকা নিয়ে মিশনে নেমেছেন প্রকৌশলী কায়কোবাদ

আপডেট সময় : ০২:৫০:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ক্ষমতা থাকলে নাকি সবকিছুই সম্ভব। অনিয়ম ও হয়ে যায় নিয়মে। তেমনি ইতিহাস হতে চলছে গণপূর্ত অধিদপ্তরে।যেখানে স্বৈরাচার সরকারের সুবিধাভোগী দুর্নীতিবাজ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. কায়কোবাদকে পদোন্নতি দেয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে গণপূর্তের চলতি দায়িত্বে থাকা প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার।

প্রায় তিন সপ্তাহ আগে তাকে পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী করার প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও কায়কোবাদের দুর্নীতি, গোয়েন্দা সংস্থা ও দুদকের ছাড়পত্র না মেলায় এখনো পদোন্নতি দেয়া হয়নি তাকে।

সবকিছু ধামাচাপা দিয়ে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর পদ বাগাতে নিজের অফিসেই বসছেন না এই তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী। তাঁর দপ্তরে তার অধীনস্থ বিভাগের শতাধিক প্রাক্কলন পড়ে থাকলেও সেগুলো পাশে মনোযোগী না হয়ে দিনভর মন্ত্রণালয়, দুদক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ছাড়পত্র নিতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

ছাত্রজীবনে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় এবং সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলমের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদে সম্পৃক্ত থাকায় মন্ত্রণালয়ের জামাতঘেষা সচিব তার পদোন্নতির ফাইল আটকে রেখেছেন।

দুর্নীতিবাজ জেনেও কায়কোবাদকে পদোন্নতি দেয়ার জন্য উঠে পড়ে লেগে থাকা গণপূর্তের চলতি দায়িত্বের প্রধান প্রকৌশলী যে শামীম আখতারও নিজে বিগত স্বৈরাচার সরকারের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী। মেধাতালিকার সপ্তম স্থানে থাকা শামীম আখতার সবাইকে ডিঙ্গিয়ে প্রধান প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্ব পেয়েছেলিন শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বে থাকা সাবেক সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকার।

মেধাতালিকার প্রথম পাঁচ নম্বরে না থাকায় ফ্যাসিস্ট সরকার আমলেও তাকে প্রধান প্রকৌশলী পদে নিয়মিত করা যায়নি। এখনও তিনি চলতি দায়িত্বেই রয়েছেন। যা সম্পূর্ণ অবৈধ।

গণপূর্তের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল আলমের বিশ্বস্ত সহচর ও বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতারের আস্থাভাজন গণপূর্তের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ। তার অব্যাহত দুর্নীতির কারণে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে, তার মতো একজন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়া হলে তা সরকারের ইমেজকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

কর্মজীবনে মো. কায়কোবাদ ইএম ডিভিশন-৭সহ ইএম-এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ডিভিশনের দায়িত্ব পালনকালে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হন। বিশেষ করে ইএম ডিভিশন-৭ এ দায়িত্ব পালনকালে কোনো কাজ না করেই ভুয়া প্রাক্কলন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।

আওয়ামী লীগের আস্থাভাজন হিসেবে তিনি জাতীয় সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, গণভবনসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ ও সার্কেলের দায়িত্ব পালন করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।

মুজিববর্ষ উদযাপনে গণপূর্ত অধিদপ্তর যে ৪শ’ কোটি টাকারও বেশি খরচ করে তার একটি বড় অংশ হাতিয়ে নেন তিনি। তৎকালীণ প্রধান প্রকৌশলী বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের নেতা আশরাফুল আলমের হয়ে তিনি সকল টেন্ডার থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।
গণপূর্ত ভবনে প্রচলিত রয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ, স্টাফ অফিসার নির্বাহী প্রকৌশলী শফিউল হান্নান ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কল্যাণ কুন্ডুর সংকেত ছাড়া কেউ কাজ পেতো না। সে সময়ে জিকে শামীমের বাতিল হওয়া কাজগুলোকে বিভিন্ন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দেয়ার জন্য এই তিনজন প্রধান প্রকৌশলীর হয়ে কমিশন তুলতেন।

ইএম সার্কেল-১ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, ইএম সার্কেল চট্টগ্রামের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী থাকাকালে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। সবচেয়ে বেশি টাকা হাতিয়েছেন মিরপুরে হওয়া সরকারি আবাসিক ভবনের টেন্ডার থেকে। যার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল তৎকালীন মিরপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী আমান উল্লাহ সরকার।

এমনই এক দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলী মো. কায়কোবাদকে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি প্রদান করলে অন্তবর্তীকালীন সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অবস্থান প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সচিব মো. নজরুল ইসলামের মতো আমলা কায়কোবাদের মতো মুজিববাদী প্রকৌশলীকে পদোন্নতি প্রদানে কতোটা সম্মত হবেন তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী পদে পদোন্নতি এবং ই/এম জোনের দায়িত্ব পেতে কমপক্ষে ১০ কোটি টাকার মিশন নিয়ে নেমেছেন এই প্রকৌশলী। ইতিমধ্যে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টার বন্ধু এক মানবাধিকার কর্মীকে ম্যানেজ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। এখন দেখার বিষয়, বর্তমান সচিব ও এ্যাডমিনিস্টেশন এসোসিয়েশনের সভাপতিকে কতোটা গলাতে পারেন এই কায়কোবাদ।
এসব অভিযোগের বিষয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ এর সঙ্গে কথা বলার জন্য মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে গণপূর্ত অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, এই লোক কত বড় লেভেলের দুর্নীতিবাজ তা বলে শেষ করা যাবে না। তার টেবিলে কোন ফাইল গেলেই কমিশন ছাড়া সই মিলে না।তাছাড়া কিছুদিন আগেও তার নিজ বাড়ি সাভার নিয়েও হয়েছে ব্যাপক আলোচনা একজন কর্মকর্তা কিভাবে কোটি টাকার বাড়ি তৈরি করেন। নামে বেনামে শত কোটি টাকা কামিয়েছেন।

এই বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন তার বিরুদ্ধে বেশকিছু দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সেগুলো যাচাই-বাছাই না করে কোন পদোন্নতি দেওয়া হবে না।

এই বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।