০৮:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গণপূর্তের প্রকৌশলী সানাউল্লাহ যত দুর্নীতির কাণ্ড

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৪৯:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৩২ বার পড়া হয়েছে

গণপূর্ত অধিদপ্তরে নিজস্ব সিন্ডিকেটকে এখনো সুবিধা ও প্রাইজ পোস্টিং দিয়ে যাচ্ছেন প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার।

সেই পক্ষপাতিত্ব মূলক আচরণ হিসেবে প্রকৌশলী এ. এস. এম. সানাউল্লাহকে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-২ থেকে বদলি করে নবগঠিত শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ-৪ এ পদায়ন করেছেন শামীম আখতার।

এদিকে এ. এস. এম. সানাউল্লাহ-এর বিরুদ্ধে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-২ এ থাকাকালীন ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে।

গত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের শেষ নাগাদ নতুন জায়গায় পদায়নের আগ মূহুর্তেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মেরামতের বরাদ্দও মেরামতের কাজ সম্পন্ন না করে ঠিকাদারের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা নিয়ে বিল পরিশোধের অভিযোগ উঠেছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এই অর্থ বছরের মার্চ মাসে হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে প্রেরিত এক স্মারকে দেখা যায়, গণপূর্ত বিভাগ-২ এর সাবেক এই নির্বাহী প্রকৌশলী এ. এস. এম. সানাউল্লাহ ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বরাদ্দ পেয়েছিলেন ৩৯ লাখ টাকা।

এই বরাদ্দে ধানমন্ডি ১৫ নং সড়কস্থ সরকারী আবাসিক এলাকার ফ্লাট নং ৮/এ, ৮/বি তে অবস্থিত সরকারী ডিসপেনসারী এর বিভিন্ন কক্ষের আন্তর নবায়ন, চৌকাঠ ও পান্না নবায়ন, টাইলস নবায়ন, বাহিরের বাগানের এস এস রেইলিং লাগানো, বিভিন্ন কক্ষে মেটাল সিলিং স্থাপন, জানালার পাল্লা মেরামত, গ্লাস পরিবর্তন, সেনিটারী ফিক্সার-ফিটিংস পরিবর্তন, রং করণসহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক কাজ মেরামতে জন্য ১৫ লাখ টাকার কাজ, ঢাকার ঝিগাতলাম্ব স্কুল কলোনীর ফ্ল্যাট নং ১৫/আই, ১৫/জে তে অবস্থিত সরকারী ডিসপেনসারী এর বিভিন্ন কক্ষের আন্তর নবায়ন, চৌকাঠ ও পাল্লা নবায়ন, টাইলস নবায়ন, বিভিন্ন কক্ষে মেটাল সিলিং স্থাপন, গ্লাস পরিবর্তন, সেনিটারী ফিক্সার-ফিটিংস পরিবর্তন, রং করণসহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক কাজ মেরামতে জন্য ১২ লাখ টাকার কাজ, ঢাকার গ্রীণ রোড ষ্টাফ কোয়ার্টারে অবস্থিত সরকারী ডিসপেনসারী এর বিভিন্ন কক্ষের আস্তর নবায়ন, চৌকাঠ ও পাল্লা নবায়ন, টাইলস নবায়ন, বিভিন্ন কক্ষে মেটাল সিলিং স্থাপন, গ্লাস পরিবর্তন, সেনিটারী ফিক্সার-ফিটিংস পরিবর্তন, রং করণসহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক কাজ মেরামতে জন্য ১২ লাখ টাকার কাজ রয়েছে।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অর্থ বছরের শেষ দিকে কোন প্রাক্কলন অনুমোদন হওয়ার পর দরপত্র আহবান করে সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন করা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সম্ভব নয়। তার পরও অর্থ বছর শেষ হওয়ায় কাজ শেষ দেখাতে হয়েছে জুনের মধ্যে।

তা না করলে বরাদ্দ অর্থ সরকারের কোষাগারে ফেরত যাবে। এ কারণে বেশির ভাগ নির্বাহী প্রকৌশলীই গোঁজামিল দিয়ে বা কাজ না করেই কাগজে কলমে কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে ঠিকাদারকে বিল দিয়ে দিয়েছেন।

তারা আরো জানান, এইভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করলে সহজে কারো চোখে পড়ে না। আর এই টাকার একটা অংশ যায় প্রধান প্রকৌশলীর ভান্ডারে।

চিঠিতে দেখা যায়, এই বরাদ্দের কাজ শেষ করে বিল পরিশোধ করার জন্য গত ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেধে দেওয়া ছিল। এই সময়ের মধ্যে কাজ সম্পাদন করে বিল পরিশোধ না করলে বরাদ্দকৃত অর্থ সরকারের কোষাগারে ফেরত যাবে।

এই বরাদ্দকৃত অর্থ যাতে সরকারের কোষাগারে ফেরত না যায় সেইজন্যই কাজ সম্পাদন না করে ৩০ জুনের মধ্যে ঠিকাদারকে সম্পূর্ণ বিল পরিশোধ করে দিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী এ. এস. এম. সানাউল্লাহ।

অসম্পন্ন কাজের বিল পরিশোধ করে পরে সেই কাজ সম্পূর্ন সম্পাদন করার সুযোগ করে দিয়েছেন তিনি। এতে তিনি ঠিকাদারদের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা নিয়েছেন বলেও অভিযোগ আছে।

অভিযোগ আছে এ. এস. এম. সানাউল্লাহ কাজ সম্পন্ন না করেই যে অগ্রীম বিল দিয়েছেন সেটা গোপন রাখার জন্য পরে যখন কাজ সম্পন্ন হয়েছে তখন কাজ সম্পন্নের প্রত্যয়ন পত্র নিয়েছেন।

গণপূর্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, এইভাবেই প্রায় সকল নির্বাহী প্রকৌশলীই বিল পরিশোধ করে পরে প্রত্যয়ন পত্র নিয়ে কাজ বৈধ করেন। এভাবে তারা নিজেদের অবৈধ কাজকে বৈধতা দেন।

পিপিআর (পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস) অনুযায়ী কাজ সম্পাদন না করে সম্পূর্ণ বিল পরিশোধ করার ফলে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা ও ঠিকাদার উভয়ের বিরুদ্ধেই বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এবং আর্থিক ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এর মধ্যে চাকরি থেকে বরখাস্ত বা সাময়িক বরখাস্ত, আর্থিক জরিমানা, এবং সরকারের রাজস্ব ক্ষতিপূরণ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

এদিকে গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার স্বাক্ষরিত একটি স্মারকে দেখা যায় এ. এস. এম. সানাউল্লাহকে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-২ থেকে শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ-৪ এ পদায়ন করা হয়েছে।

এই পদায়ন নিয়ে গণপূর্ত সংশ্লিষ্টরা বলেন, এতে প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারেরই সুবিধা বেশি। তার নিজস্ব লোক সানাউল্লাহ। শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ-৪ থেকেও এখন ফান্ড আসবে শামীম আখতারের কাছে। সানাউল্লাহর পাশাপাশি শামীম আখতারেরও পকেট ভারি হবে।

এ বিষয়ে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-২ এর সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ও শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ-৪ এর বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী এ. এস. এম. সানাউল্লাহ-এর সাথে কথা বলার জন্য তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

গণপূর্তের প্রকৌশলী সানাউল্লাহ যত দুর্নীতির কাণ্ড

আপডেট সময় : ০২:৪৯:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গণপূর্ত অধিদপ্তরে নিজস্ব সিন্ডিকেটকে এখনো সুবিধা ও প্রাইজ পোস্টিং দিয়ে যাচ্ছেন প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার।

সেই পক্ষপাতিত্ব মূলক আচরণ হিসেবে প্রকৌশলী এ. এস. এম. সানাউল্লাহকে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-২ থেকে বদলি করে নবগঠিত শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ-৪ এ পদায়ন করেছেন শামীম আখতার।

এদিকে এ. এস. এম. সানাউল্লাহ-এর বিরুদ্ধে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-২ এ থাকাকালীন ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আছে।

গত ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের শেষ নাগাদ নতুন জায়গায় পদায়নের আগ মূহুর্তেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মেরামতের বরাদ্দও মেরামতের কাজ সম্পন্ন না করে ঠিকাদারের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা নিয়ে বিল পরিশোধের অভিযোগ উঠেছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এই অর্থ বছরের মার্চ মাসে হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে প্রেরিত এক স্মারকে দেখা যায়, গণপূর্ত বিভাগ-২ এর সাবেক এই নির্বাহী প্রকৌশলী এ. এস. এম. সানাউল্লাহ ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বরাদ্দ পেয়েছিলেন ৩৯ লাখ টাকা।

এই বরাদ্দে ধানমন্ডি ১৫ নং সড়কস্থ সরকারী আবাসিক এলাকার ফ্লাট নং ৮/এ, ৮/বি তে অবস্থিত সরকারী ডিসপেনসারী এর বিভিন্ন কক্ষের আন্তর নবায়ন, চৌকাঠ ও পান্না নবায়ন, টাইলস নবায়ন, বাহিরের বাগানের এস এস রেইলিং লাগানো, বিভিন্ন কক্ষে মেটাল সিলিং স্থাপন, জানালার পাল্লা মেরামত, গ্লাস পরিবর্তন, সেনিটারী ফিক্সার-ফিটিংস পরিবর্তন, রং করণসহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক কাজ মেরামতে জন্য ১৫ লাখ টাকার কাজ, ঢাকার ঝিগাতলাম্ব স্কুল কলোনীর ফ্ল্যাট নং ১৫/আই, ১৫/জে তে অবস্থিত সরকারী ডিসপেনসারী এর বিভিন্ন কক্ষের আন্তর নবায়ন, চৌকাঠ ও পাল্লা নবায়ন, টাইলস নবায়ন, বিভিন্ন কক্ষে মেটাল সিলিং স্থাপন, গ্লাস পরিবর্তন, সেনিটারী ফিক্সার-ফিটিংস পরিবর্তন, রং করণসহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক কাজ মেরামতে জন্য ১২ লাখ টাকার কাজ, ঢাকার গ্রীণ রোড ষ্টাফ কোয়ার্টারে অবস্থিত সরকারী ডিসপেনসারী এর বিভিন্ন কক্ষের আস্তর নবায়ন, চৌকাঠ ও পাল্লা নবায়ন, টাইলস নবায়ন, বিভিন্ন কক্ষে মেটাল সিলিং স্থাপন, গ্লাস পরিবর্তন, সেনিটারী ফিক্সার-ফিটিংস পরিবর্তন, রং করণসহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক কাজ মেরামতে জন্য ১২ লাখ টাকার কাজ রয়েছে।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অর্থ বছরের শেষ দিকে কোন প্রাক্কলন অনুমোদন হওয়ার পর দরপত্র আহবান করে সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন করা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সম্ভব নয়। তার পরও অর্থ বছর শেষ হওয়ায় কাজ শেষ দেখাতে হয়েছে জুনের মধ্যে।

তা না করলে বরাদ্দ অর্থ সরকারের কোষাগারে ফেরত যাবে। এ কারণে বেশির ভাগ নির্বাহী প্রকৌশলীই গোঁজামিল দিয়ে বা কাজ না করেই কাগজে কলমে কাজ সম্পন্ন দেখিয়ে ঠিকাদারকে বিল দিয়ে দিয়েছেন।

তারা আরো জানান, এইভাবে দুর্নীতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করলে সহজে কারো চোখে পড়ে না। আর এই টাকার একটা অংশ যায় প্রধান প্রকৌশলীর ভান্ডারে।

চিঠিতে দেখা যায়, এই বরাদ্দের কাজ শেষ করে বিল পরিশোধ করার জন্য গত ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেধে দেওয়া ছিল। এই সময়ের মধ্যে কাজ সম্পাদন করে বিল পরিশোধ না করলে বরাদ্দকৃত অর্থ সরকারের কোষাগারে ফেরত যাবে।

এই বরাদ্দকৃত অর্থ যাতে সরকারের কোষাগারে ফেরত না যায় সেইজন্যই কাজ সম্পাদন না করে ৩০ জুনের মধ্যে ঠিকাদারকে সম্পূর্ণ বিল পরিশোধ করে দিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী এ. এস. এম. সানাউল্লাহ।

অসম্পন্ন কাজের বিল পরিশোধ করে পরে সেই কাজ সম্পূর্ন সম্পাদন করার সুযোগ করে দিয়েছেন তিনি। এতে তিনি ঠিকাদারদের কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা নিয়েছেন বলেও অভিযোগ আছে।

অভিযোগ আছে এ. এস. এম. সানাউল্লাহ কাজ সম্পন্ন না করেই যে অগ্রীম বিল দিয়েছেন সেটা গোপন রাখার জন্য পরে যখন কাজ সম্পন্ন হয়েছে তখন কাজ সম্পন্নের প্রত্যয়ন পত্র নিয়েছেন।

গণপূর্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, এইভাবেই প্রায় সকল নির্বাহী প্রকৌশলীই বিল পরিশোধ করে পরে প্রত্যয়ন পত্র নিয়ে কাজ বৈধ করেন। এভাবে তারা নিজেদের অবৈধ কাজকে বৈধতা দেন।

পিপিআর (পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস) অনুযায়ী কাজ সম্পাদন না করে সম্পূর্ণ বিল পরিশোধ করার ফলে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা ও ঠিকাদার উভয়ের বিরুদ্ধেই বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এবং আর্থিক ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এর মধ্যে চাকরি থেকে বরখাস্ত বা সাময়িক বরখাস্ত, আর্থিক জরিমানা, এবং সরকারের রাজস্ব ক্ষতিপূরণ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

এদিকে গত ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার স্বাক্ষরিত একটি স্মারকে দেখা যায় এ. এস. এম. সানাউল্লাহকে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-২ থেকে শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ-৪ এ পদায়ন করা হয়েছে।

এই পদায়ন নিয়ে গণপূর্ত সংশ্লিষ্টরা বলেন, এতে প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারেরই সুবিধা বেশি। তার নিজস্ব লোক সানাউল্লাহ। শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ-৪ থেকেও এখন ফান্ড আসবে শামীম আখতারের কাছে। সানাউল্লাহর পাশাপাশি শামীম আখতারেরও পকেট ভারি হবে।

এ বিষয়ে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-২ এর সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ও শেরেবাংলা নগর গণপূর্ত বিভাগ-৪ এর বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী এ. এস. এম. সানাউল্লাহ-এর সাথে কথা বলার জন্য তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।