০৬:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশ অমান্য করে জনবল নিয়োগের পাঁয়তারা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৮:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৫৩ বার পড়া হয়েছে

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে সমাপ্ত এনএটিপি প্রকল্পের ১২৮ জন ফিল্ড এসিসটেন্ট প্রকল্প সমাপ্তি শেষে চাকুরী রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করার জন্য আবেদন করে এবং তৎকালীন মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহাজাদা একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে ১২৮ জনের চাকুরী রাজস্ব খাতে প্রয়োজন রয়েছে মর্মে প্রতিবেদন পাওয়ার পর আবেদনকারীদের চাকুরী রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব প্রেরন করেন।

কিন্তু মন্ত্রণালয় হতে কোন সিদ্ধান্ত না আসায় ভুক্তভোগীরা হাইকোর্টে রীট পিটিশন দাখিল করেন ( রীট নং-৭২০০/২৩)। তদপ্রেক্ষিত উচ্চ আদালত রীটকারীদের চাকুরী কেন রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা হবে না মর্মে বিগত ২৯/৫/২৪ ইং তারিখে রুলজারী করেন এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে শুন্য সমমানের ১২৮ টি পদ (৫৪ টি ক্যাশিয়ার ও ৭৪ টি অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিকের পদ) শুন্য রাখার জন্য নিদেশনা প্রদান করেন।

পরবর্তী পর্যায়ে অধিদপ্তর রুলের জবাব প্রদান সহ আদেশটি ভ্যাকেট করার জন্য আপিল করে। সে প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত শুনানী শেষে গত ১৬/১/২৫ ইং তারিখের আদেশটি বাতিল করে আবেদনকারীদের জনবল নিয়োগের জন্য প্রদত্ত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ক্যাশিয়ার ও অফিস সহকারী পদে আবেদন করার সুযোগ দিয়ে রীটের নিষ্পত্তি করে দেন।

কিন্তু আবেদনকারীগন উক্ত আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে় হাইকোর্টের বিগত ১৬/১/২৫ তারিখের আদেশটি স্থগিত করত তাদেরকে শুধুমাত্র মৌখিক পরীক্ষা গ্রহনের মাধ্যমে চাকুরীতে নিয়োগ প্রদানের লক্ষে মাননীয় চেম্বার জর্জ আদালতে সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল( সিপি) দাখিল করে।

(সিপি মামলা নং- ১৫০৬/২৫)। চেম্বার জজ সিপির উপর কোনরুপ নিষেধাজ্ঞা/স্টে না দিয়ে আপিল বিভাগের ১ নং আদালতে পুর্ণাংগ শুনানীর জন্য বিগত ২৫/৬/২৫ ইং তারিখ নির্ধারণ করে আদেশ প্রদান করেন।

এবং সিপি মামলাটি যথারীতি ২৫/৬/২৫ ইং তারিখে ১ নং কোর্টের কার্য তালিকায় আসে। কিন্তু ঐ দিন সিরিয়াল পর্যন্ত আসার আগেই কোর্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঐদিন শুনানী হয়নি।

পরবর্তী পর্যায়ে মামলাটি মাননীয় বিচারপতি মোহাম্মদ আশরাফুল হকের নেতৃত্বাধীন ২নং কোটে স্থানান্তরিত হয় এবং বিগত ১/৯/২৫ ইং তারিখে শুনানী হয়।

মামলাটি শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল মামলা নং-১৫০৬/২৫ টি গ্রহন করেন এবং আবেদন অনুযায়ী ১২৮ টি পদ শুন্য রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

বিষয়টি আবেদনকারীগন তাৎক্ষনিক সরকার কর্তৃক নিয়োজিত আপিল বিভাগের এ্যাডভোকেট অন রেকর্ড এর নিকট হতে প্রত্যায়ন পত্র সংগ্রহ করত লিখিতভাবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ডিজি ও মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর অবহিত করেন।

কিন্তু তারপরেও কোন প্রকার যাচাই বাছাই ছাড়াই প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে ৫৪ টি ক্যাশিয়ারের পদসহ অফিস সহকারী পদের লিখিত পরীক্ষার চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষনা করেছে এবং নিয়োগপত্র জারির পদক্ষেপ নিচ্ছে।আর এই অবৈধ প্রক্রিয়ার সমস্ত কলকাঠি নাড়ছেন নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ও পরিচালক প্রশাসন ডা. তারেক।

শোনা যায়, তিনি প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের আদেশ অমান্য করার সাহস দেখাচ্ছেন। এতে করে প্রাণিসম্পদ অধিদপরের মহাপরিচালকসহ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত কর্মকর্তারা উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করার অভিযোগে অভিযুক্ত হতে পারেন।

এ বিষয়ে অধিদপ্তরের ডিজির সংগে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। জানা যায় তিনি সরকারী কাজে দেশের বাইরে রয়েছেন।

নিয়োগ কমিটির সভাপতি ডা. ভযেজার, সদস্য সচিব ও উপ-পরিচালক প্রশাসন ডা. তারেকের নিকট মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠিয়ে জানতে চাওয়া হলে তারা কোন জবাব দেননি।
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিবের সংগে কথা বলা হলে তিনি জানান বিষয়টি জেনে বিধি মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নির্দেশ অমান্য করে জনবল নিয়োগের পাঁয়তারা

আপডেট সময় : ১০:৫৮:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে সমাপ্ত এনএটিপি প্রকল্পের ১২৮ জন ফিল্ড এসিসটেন্ট প্রকল্প সমাপ্তি শেষে চাকুরী রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করার জন্য আবেদন করে এবং তৎকালীন মহাপরিচালক ডা. মনজুর মোহাম্মদ শাহাজাদা একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে ১২৮ জনের চাকুরী রাজস্ব খাতে প্রয়োজন রয়েছে মর্মে প্রতিবেদন পাওয়ার পর আবেদনকারীদের চাকুরী রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব প্রেরন করেন।

কিন্তু মন্ত্রণালয় হতে কোন সিদ্ধান্ত না আসায় ভুক্তভোগীরা হাইকোর্টে রীট পিটিশন দাখিল করেন ( রীট নং-৭২০০/২৩)। তদপ্রেক্ষিত উচ্চ আদালত রীটকারীদের চাকুরী কেন রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা হবে না মর্মে বিগত ২৯/৫/২৪ ইং তারিখে রুলজারী করেন এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে শুন্য সমমানের ১২৮ টি পদ (৫৪ টি ক্যাশিয়ার ও ৭৪ টি অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিকের পদ) শুন্য রাখার জন্য নিদেশনা প্রদান করেন।

পরবর্তী পর্যায়ে অধিদপ্তর রুলের জবাব প্রদান সহ আদেশটি ভ্যাকেট করার জন্য আপিল করে। সে প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত শুনানী শেষে গত ১৬/১/২৫ ইং তারিখের আদেশটি বাতিল করে আবেদনকারীদের জনবল নিয়োগের জন্য প্রদত্ত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ক্যাশিয়ার ও অফিস সহকারী পদে আবেদন করার সুযোগ দিয়ে রীটের নিষ্পত্তি করে দেন।

কিন্তু আবেদনকারীগন উক্ত আদেশে সংক্ষুব্ধ হয়ে় হাইকোর্টের বিগত ১৬/১/২৫ তারিখের আদেশটি স্থগিত করত তাদেরকে শুধুমাত্র মৌখিক পরীক্ষা গ্রহনের মাধ্যমে চাকুরীতে নিয়োগ প্রদানের লক্ষে মাননীয় চেম্বার জর্জ আদালতে সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল( সিপি) দাখিল করে।

(সিপি মামলা নং- ১৫০৬/২৫)। চেম্বার জজ সিপির উপর কোনরুপ নিষেধাজ্ঞা/স্টে না দিয়ে আপিল বিভাগের ১ নং আদালতে পুর্ণাংগ শুনানীর জন্য বিগত ২৫/৬/২৫ ইং তারিখ নির্ধারণ করে আদেশ প্রদান করেন।

এবং সিপি মামলাটি যথারীতি ২৫/৬/২৫ ইং তারিখে ১ নং কোর্টের কার্য তালিকায় আসে। কিন্তু ঐ দিন সিরিয়াল পর্যন্ত আসার আগেই কোর্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঐদিন শুনানী হয়নি।

পরবর্তী পর্যায়ে মামলাটি মাননীয় বিচারপতি মোহাম্মদ আশরাফুল হকের নেতৃত্বাধীন ২নং কোটে স্থানান্তরিত হয় এবং বিগত ১/৯/২৫ ইং তারিখে শুনানী হয়।

মামলাটি শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিল মামলা নং-১৫০৬/২৫ টি গ্রহন করেন এবং আবেদন অনুযায়ী ১২৮ টি পদ শুন্য রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

বিষয়টি আবেদনকারীগন তাৎক্ষনিক সরকার কর্তৃক নিয়োজিত আপিল বিভাগের এ্যাডভোকেট অন রেকর্ড এর নিকট হতে প্রত্যায়ন পত্র সংগ্রহ করত লিখিতভাবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ডিজি ও মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর অবহিত করেন।

কিন্তু তারপরেও কোন প্রকার যাচাই বাছাই ছাড়াই প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাংগুলি দেখিয়ে ৫৪ টি ক্যাশিয়ারের পদসহ অফিস সহকারী পদের লিখিত পরীক্ষার চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষনা করেছে এবং নিয়োগপত্র জারির পদক্ষেপ নিচ্ছে।আর এই অবৈধ প্রক্রিয়ার সমস্ত কলকাঠি নাড়ছেন নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ও পরিচালক প্রশাসন ডা. তারেক।

শোনা যায়, তিনি প্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের আদেশ অমান্য করার সাহস দেখাচ্ছেন। এতে করে প্রাণিসম্পদ অধিদপরের মহাপরিচালকসহ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত কর্মকর্তারা উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করার অভিযোগে অভিযুক্ত হতে পারেন।

এ বিষয়ে অধিদপ্তরের ডিজির সংগে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। জানা যায় তিনি সরকারী কাজে দেশের বাইরে রয়েছেন।

নিয়োগ কমিটির সভাপতি ডা. ভযেজার, সদস্য সচিব ও উপ-পরিচালক প্রশাসন ডা. তারেকের নিকট মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠিয়ে জানতে চাওয়া হলে তারা কোন জবাব দেননি।
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সচিবের সংগে কথা বলা হলে তিনি জানান বিষয়টি জেনে বিধি মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।