নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ৫ কর্মকর্তার অনিয়ম দুর্নীতি তদন্তে কমিটি গঠন
- আপডেট সময় : ০২:০৮:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫ ৫৩ বার পড়া হয়েছে
নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ইনল্যান্ড পরীক্ষায় অনিয়ম দুর্নীতি এবং বাংলাদেশ মেরিণ একাডেমী পাবনার কমান্ডেন্ট এর নানা অনিয়ম দুর্নীতির তদন্তে কমিটি গঠন ও অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের মৌখিক বক্তব্য গ্রহন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জাহাজ শাখা থেকে গত ১৫ সেপ্টেম্বর একটি নোটিশ জারি করা হয়।
নোটিশে বলা হয়, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, পাবনা’র বিভিন্ন অনিয়ম এবং নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ইনল্যান্ড মেরিন পরীক্ষায় অনিয়মের বিষয়টি তদন্তের জন্য গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও যুগ্মসচিব মো. ফিরোজ আহমেদের সভাপতিত্বে সচিবালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় অভিযুক্ত কর্মকর্তারা হলেন– ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন, চীফ নটিক্যাল সার্ভেয়ার, নৌপরিবহন অধিদপ্তর, আগারগাঁও, ঢাকা।কমান্ড্যান্ট, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, পাবনা। মো. আবুল বাসার, ইঞ্জিনিয়ার এন্ড শিপ সার্ভেয়ার এন্ড এক্সামিনার, নৌপরিবহন অধিদপ্তর, আগারগাঁও, ঢাকা। মো. কাদের, কম্পিউটার অপারেটর, নৌপরিবহন অধিদপ্তর, আগারগাঁও, ঢাকা।
অনুলিপি (জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে নয়)
১। যুগ্মসচিব (সচিবালয় নিরাপত্তা শাখা), জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা (বর্ণিত সভায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণকে গাড়ীসহ সচিবালয়ে প্রবেশের অনুমতি প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধসহ)।
২। সিনিয়র সচিবের একান্ত সচিব, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা (সিনিয়র সচিব মহোদয়ের সদয় অবগতির জন্য)
৩। সহকারী সচিব (প্রশাসন-২), নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা (সভায় আগত কর্মকর্তাদের আপ্যায়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধসহ)
৪। যুগ্মসচিব (চবক ও বাস্থবক)-এর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা (যুগ্মসচিব (চবক ও বাস্থবক) ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক-মহোদয়ের সদয় অবগতির জন্য) প্রদান করা হয়।
পরবর্তীতে অভিযুক্তদের মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উপস্থিতিতে মৌখিক বক্তব্য গ্রহন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ইনল্যান্ড মাস্টার ও ড্রাইভার পরীক্ষায় নানা কৌশলে দুর্নীতি করা হয়। এ খাতে প্রতি পরীক্ষায় লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য করা হয়।
অপরদিকে বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি,পাবনা এর কমান্ড্যান্ট ক্যাপ্টেন মো.তৌফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাডেমির পুকুরে ব্যক্তিগতভাবে মাছ চাষ ও বিক্রি, ক্যাডেটদের খাবারের টাকা থেকে ২৫ শতাংশ কমিশন খাওয়া, ভূয়া টেন্ডারের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকের অধিকতর ক্লাস দেখিয়ে টাকা ভাগাভাগি, নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দেওয়া, নারী সহকর্মীকে যৌন নির্যাতন সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।










