০৮:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে টেন্ডারে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক,ঢাকা
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৩:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৫২ বার পড়া হয়েছে

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে টেন্ডার ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। মাদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দীর্ঘ বছর ধরে এমন নিয়োগ বাণিজ্য চালিয়ে আসছে বলে দাবি করেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কে এস এফের এমডি শামীম।

তিনি তাদের অনিয়মের কথা উল্লেখ করে বলেন,২০২৪ সালের ২১ নভেম্বর নতুন টেন্ডার দেয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। সেই টেন্ডারে অংশ নেয় বেশ কয়েকটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে সর্ব্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে কে এস এফ ট্রেড লিমিটেডকে নির্বাচিত করা হয়। এই ঠিকাদার প্রতিষ্টানকে টেন্ডার পাইয়ে দিয়ে ২৪১ জন লোকবলের মধ্যে কোম্পানির এমডি শামীম মাত্র ৩৫ জন কর্মী রিক্রুট করার সুযোগ পায়।

বাকি ২১০ কর্মীর নিকট থেকে ৩ লাখ টাকা রফাদফায় নিয়োগ দেয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এর পর শামীমের টেন্ডারের মেয়াদ শেষ হয় চলতি বছরের ৩০ জুন। তার টেন্ডারের মেয়াদ শেষ হতে না হতেই গত ১৭ মে নতুন করে আবার জনবল নিয়োগের ওপেন টেন্ডার দেয় মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর।

দরপত্র আহ্বান করার পর যাচাই-বাছাই সম্পন্ন না হওয়ায় কে এস এফ ট্রেড ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের টেন্ডারের মেয়াদ ফের জুলাই-আগস্ট ২ মাস বৃদ্ধি করা হয়।

আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগ পাওয়া ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের এমডি শামীম, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে টেন্ডার নবায়ন না করার অভিযোগ তুলে বলেন,মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর এপর্যন্ত যতগুলো টেন্ডার দিয়েছে এবং যেসব ঠিকাদার কোম্পানি টেন্ডার পেয়েছে তাদের কারও মেয়াদ নবায়ন করা হয়নি। টিক আমার ক্ষেত্রে সেটাই ঘটিয়েছে। তাদের কৌশল নতুন টেন্ডার দেওয়া হলে অন্য কোম্পানি ঠিকাদারি কাজ পাবে।

সেখানে তারা নিজের মতো নিয়োগ বাণিজ্য করতে পারবে। এভাবেই তারা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। নিজের পছন্দের লোক টাকার বিনিময়ে আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগ দিয়ে থাকে। এর আগে ২০২১ সালে আউটসোর্সিং টেন্ডায় পায় কৃষ্ণা সিকিউরিটি কোম্পানি। ওই সময় আউটসোর্সিং ৯টি পদে জনবল নিয়োগে চুক্তিপত্র সম্পাদন করেছিলেন মাদকের সাবেক মহাপরিচালক(ডিজি)।

বিগত সময় থেকে তাদের বিরুদ্ধে এমন নানা অভিযোগ চলমান রয়েছে। আর এসব টেন্ডার বাণিজ্যের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। ঠিকাদার শামীম দাবি করেন আমার পাওয়া পূর্বের টেন্ডারের নিয়মানুযায়ী এক বছরের মেয়াদ বৃদ্ধি করার কথা। মেয়াদ বৃদ্ধি না করে নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এবার যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে তা দুই লটে।

যার-৫৮.০২.০০০০.০০৬.১১.০৫৭.১৮(খন্ড-৫).২৮৭৪-উক্ত স্বারকে বলা হয়,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৩৪১জন আউটসোর্সিং জনবলের সেবা ক্রয়ের চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধিকরণ। এই মেয়াদ বৃদ্ধিকরণ চুক্তিপত্রে গত ২৯ জুলাই স্বাক্ষর করেন উপপরিচালক মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান(ক্রয়,পরিকল্পনা ও উন্নয়ন)।

উল্লেখ্য: মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ বেশ পুরনো। বিশেষ করে আটক করা মাদকদ্রব্য জব্দের পর কম দেখনো, একই পদে বছরের পর বছর বহাল থাকা, বিভিন্ন মদের বার বা সিসা লাউঞ্জ থেকে মাসোহারা আদায় অন্যতম। ঊধ্বর্তনদের ম্যানেজ করে প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটলেও দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যারা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অধদিপ্তরকে নিজেদের কজ্বায় রেখেছিলেন তাদের অনেকে এখনও স্বপদ বহাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। বঙ্গবন্ধু পরষিদের ব্যানারে যারা সক্রিয় ছিলেন তারাও এখন ভোল পাল্টে জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বলে দাবি করছনে। অধদিপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমের তথ্য বলছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধদিপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও হসিাব) তারিক মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম দীর্ঘ সাত বছর ধরে একই পদে কর্মরত আছেন। একসময় নিজেকে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান পরিচয় দিতেন। নিজেও বঙ্গবন্ধু পরিষদের অর্থ সম্পাদক ছিলেন।

শুভ দাস মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয় রংপুরে কর্মরত শুভ দাস প্রতিবেদকে বলেন,মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর থেকে জানান আগস্টের ৩১ তারিখে তোমাদের চাকরির মেয়াদ শেষ হবে। একই অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয় রাজশাহী কর্মরত মিলন চন্দ্র একই কথা বলেছে। এভাবে প্রত্যেক কর্মচারিকে ফোনে চাকরি না থাকার মেসেজ জানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

কৃষ্ণা সিকিউরিটি সার্ভিস কোম্পানির এমডি কৃষ্ণা বলেন,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বরাবরি অনিয়-দুর্নীতি করে আসছে। টেন্ডার পাওয়া কোন কোম্পানির টেন্ডার নবায়ন করে না। তারা তাদের স্বার্থের জন্য যা ইচ্ছে তাই করে। তাদের নিয়ম-নীতির বালাই নেই। বর্তমানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আরও বেপরোয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন কৃষ্ণ।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দেওয়া এবং জনবল নিয়োগের বিষয়ে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ গোলাম আজম প্রতিবেদককে বলেন, বিগত সময়ে যে নিয়মে টেন্ডার এবং লোকবল নিয়োগ হয়েছে বর্তমান সময়ে তার চেয়ে পুরোটাই ব্যতিক্রম হবে। তিনি নিয়োগের বিষয়ে দাবি করে জানান এবার স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য

মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে টেন্ডারে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৪:৩৩:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে টেন্ডার ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। মাদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দীর্ঘ বছর ধরে এমন নিয়োগ বাণিজ্য চালিয়ে আসছে বলে দাবি করেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কে এস এফের এমডি শামীম।

তিনি তাদের অনিয়মের কথা উল্লেখ করে বলেন,২০২৪ সালের ২১ নভেম্বর নতুন টেন্ডার দেয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। সেই টেন্ডারে অংশ নেয় বেশ কয়েকটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে সর্ব্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে কে এস এফ ট্রেড লিমিটেডকে নির্বাচিত করা হয়। এই ঠিকাদার প্রতিষ্টানকে টেন্ডার পাইয়ে দিয়ে ২৪১ জন লোকবলের মধ্যে কোম্পানির এমডি শামীম মাত্র ৩৫ জন কর্মী রিক্রুট করার সুযোগ পায়।

বাকি ২১০ কর্মীর নিকট থেকে ৩ লাখ টাকা রফাদফায় নিয়োগ দেয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এর পর শামীমের টেন্ডারের মেয়াদ শেষ হয় চলতি বছরের ৩০ জুন। তার টেন্ডারের মেয়াদ শেষ হতে না হতেই গত ১৭ মে নতুন করে আবার জনবল নিয়োগের ওপেন টেন্ডার দেয় মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর।

দরপত্র আহ্বান করার পর যাচাই-বাছাই সম্পন্ন না হওয়ায় কে এস এফ ট্রেড ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের টেন্ডারের মেয়াদ ফের জুলাই-আগস্ট ২ মাস বৃদ্ধি করা হয়।

আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগ পাওয়া ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের এমডি শামীম, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে টেন্ডার নবায়ন না করার অভিযোগ তুলে বলেন,মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর এপর্যন্ত যতগুলো টেন্ডার দিয়েছে এবং যেসব ঠিকাদার কোম্পানি টেন্ডার পেয়েছে তাদের কারও মেয়াদ নবায়ন করা হয়নি। টিক আমার ক্ষেত্রে সেটাই ঘটিয়েছে। তাদের কৌশল নতুন টেন্ডার দেওয়া হলে অন্য কোম্পানি ঠিকাদারি কাজ পাবে।

সেখানে তারা নিজের মতো নিয়োগ বাণিজ্য করতে পারবে। এভাবেই তারা কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। নিজের পছন্দের লোক টাকার বিনিময়ে আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগ দিয়ে থাকে। এর আগে ২০২১ সালে আউটসোর্সিং টেন্ডায় পায় কৃষ্ণা সিকিউরিটি কোম্পানি। ওই সময় আউটসোর্সিং ৯টি পদে জনবল নিয়োগে চুক্তিপত্র সম্পাদন করেছিলেন মাদকের সাবেক মহাপরিচালক(ডিজি)।

বিগত সময় থেকে তাদের বিরুদ্ধে এমন নানা অভিযোগ চলমান রয়েছে। আর এসব টেন্ডার বাণিজ্যের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। ঠিকাদার শামীম দাবি করেন আমার পাওয়া পূর্বের টেন্ডারের নিয়মানুযায়ী এক বছরের মেয়াদ বৃদ্ধি করার কথা। মেয়াদ বৃদ্ধি না করে নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এবার যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে তা দুই লটে।

যার-৫৮.০২.০০০০.০০৬.১১.০৫৭.১৮(খন্ড-৫).২৮৭৪-উক্ত স্বারকে বলা হয়,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৩৪১জন আউটসোর্সিং জনবলের সেবা ক্রয়ের চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধিকরণ। এই মেয়াদ বৃদ্ধিকরণ চুক্তিপত্রে গত ২৯ জুলাই স্বাক্ষর করেন উপপরিচালক মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান(ক্রয়,পরিকল্পনা ও উন্নয়ন)।

উল্লেখ্য: মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ বেশ পুরনো। বিশেষ করে আটক করা মাদকদ্রব্য জব্দের পর কম দেখনো, একই পদে বছরের পর বছর বহাল থাকা, বিভিন্ন মদের বার বা সিসা লাউঞ্জ থেকে মাসোহারা আদায় অন্যতম। ঊধ্বর্তনদের ম্যানেজ করে প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটলেও দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যারা ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অধদিপ্তরকে নিজেদের কজ্বায় রেখেছিলেন তাদের অনেকে এখনও স্বপদ বহাল থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। বঙ্গবন্ধু পরষিদের ব্যানারে যারা সক্রিয় ছিলেন তারাও এখন ভোল পাল্টে জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ বলে দাবি করছনে। অধদিপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমের তথ্য বলছে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধদিপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও হসিাব) তারিক মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম দীর্ঘ সাত বছর ধরে একই পদে কর্মরত আছেন। একসময় নিজেকে আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান পরিচয় দিতেন। নিজেও বঙ্গবন্ধু পরিষদের অর্থ সম্পাদক ছিলেন।

শুভ দাস মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, জেলা কার্যালয় রংপুরে কর্মরত শুভ দাস প্রতিবেদকে বলেন,মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর থেকে জানান আগস্টের ৩১ তারিখে তোমাদের চাকরির মেয়াদ শেষ হবে। একই অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয় রাজশাহী কর্মরত মিলন চন্দ্র একই কথা বলেছে। এভাবে প্রত্যেক কর্মচারিকে ফোনে চাকরি না থাকার মেসেজ জানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

কৃষ্ণা সিকিউরিটি সার্ভিস কোম্পানির এমডি কৃষ্ণা বলেন,মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বরাবরি অনিয়-দুর্নীতি করে আসছে। টেন্ডার পাওয়া কোন কোম্পানির টেন্ডার নবায়ন করে না। তারা তাদের স্বার্থের জন্য যা ইচ্ছে তাই করে। তাদের নিয়ম-নীতির বালাই নেই। বর্তমানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আরও বেপরোয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন কৃষ্ণ।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দেওয়া এবং জনবল নিয়োগের বিষয়ে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ গোলাম আজম প্রতিবেদককে বলেন, বিগত সময়ে যে নিয়মে টেন্ডার এবং লোকবল নিয়োগ হয়েছে বর্তমান সময়ে তার চেয়ে পুরোটাই ব্যতিক্রম হবে। তিনি নিয়োগের বিষয়ে দাবি করে জানান এবার স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।