ক্যানসার জয়ের গল্প শোনালেন আবুল হায়াত

- আপডেট সময় : ০৪:১৮:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৩৩ বার পড়া হয়েছে
ক্যানসার ‘জয়ের’ গল্প শুনিয়ে অভিনেতা আবুল হায়াত এই রোগে আক্রান্ত হলেও ভেঙে না পড়ে ইতিবাচক থাকা ও চিকিৎসা করানোর কথা বলেছেন।
সম্প্রতি ঢাকার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, তিনি ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করেছেন, চিকিৎসা নিয়েছেন। চিকিৎসক, সেবাদাতা ও পরিবারের সদস্যরা তাকে সহায়তা করেছেন। ‘রবিপথ থেকে অগ্নিপথ : প্রোস্টেট ক্যানসার জয়ের গল্প’ শীর্ষক এই আয়োজনে বিশিষ্টজনরা বলেছেন, মরণব্যাধি হলেও আগে থেকে ক্যানসার ধরা পড়লে ঝুঁকি কম থাকে, এ কারণে একটি নির্দিষ্ট বয়সের পর ক্যানসারের ‘স্ক্রিনিং’ করার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
প্রোস্টেট ক্যানসার সচেতনতার মাস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে সেন্টার ফর ক্যানসার কেয়ার ফাউন্ডেশন (সিসিসিএফ)। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নাটক ও চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা আবুল হায়াত। সিসিসিএফের সাধারণ সম্পাদক রোকসানা আফরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা আফজাল হোসেন, জুয়েল আইচ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আবু জামিল ফয়সাল ও ডা. অসীম সেনগুপ্ত।
আবুল হায়াত বলেন, তার বাবাও প্রোস্টেট ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। তার মা, বোনও ক্যানসারের কাছে হার মানেন। প্রোস্টেট ক্যানসার ধরা পড়ার পর তিনি শুরুতে কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। তবে ধীরে ধীরে তিনি সেটি কাটিয়ে ওঠেন। এ কাজে তাকে চিকিৎসক, পরিবার সহায়তা করেছেন। এ কারণে ক্যানসার আক্রান্ত হলেও ইতিবাচক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আল্লাহ বলেছেন চেষ্টা করতে, তিনি পাশে থাকবেন। সে হিসেবে আমি চেষ্টা করছি, এখন পর্যন্ত করে যাচ্ছি। রোগ আসবে, তবে ইতিবাচক থাকতে হবে। একটা কথা আছে ‘আই ওয়ান্ট টু গৌ হ্যাভেন, বাট আই ডোন্ট ওয়ান্ট টু ডাই’। ওই চিন্তা থেকে ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করেছি, চিকিৎসা নিয়েছি। চিকিৎসক, ‘কেয়ার গিভার’, আমার পরিবারের লোকজন আমাকে অনেক সহায়তা করছেন।’
অভিনেতা আফজাল হোসেন বলেন, ‘আজকের অনুষ্ঠানে যে রোগ (ক্যানসার) নিয়ে কথা হচ্ছে, তার চেয়ে অতি মারাত্মক একটা রোগে মানুষ ভুগছে। সেটি হচ্ছে পাশের মানুষের খোঁজখবর না নেওয়া, বিচ্ছিন্নতা। এ কারণে সব সময় সবার পাশের থাকার চেষ্টা করতে হবে। আমরা একটা সম্পর্কে বাস করি, যেটি পৃথিবীতে সবচেয়ে মূল্যবান। পরস্পরকে অনুভব করা।
যে সময় আমরা এসে দাঁড়িয়েছি, এখন আমরা কেউ কাউকে অনুভব করতে চাই না। যখন আমরা কেউ কারো সঙ্গে যোগাযোগ রাখি না, বিচ্ছিন্নতা রোগে ভুগি। বিচ্ছিন্নতা সবচেয়ে ভয়ংকর রোগ, তখন আমরা একটা মানুষের সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে দুঃখ প্রকাশও করতে পারি না। এ কারণে আসুন সম্পর্ককে অনুভব করি এবং থাকতে (বেঁচে থাকতে) সবাইকে অনেক ভালোবাসি।’